প্রচ্ছদ > জেনে নিন > কপিরাইট করতে চাইলে
কপিরাইট করতে চাইলে

কপিরাইট করতে চাইলে

নওরীন নুসরাত অর্ষা :::

কপিরাইট করার প্রয়োজন হতে পারে অনেক কারণে। মেধাসত্ত্ব আইনানুসারে নিজের লেখা, শিল্পকর্ম বা অন্যান্য সম্পদের সুরক্ষা তথা রয়্যালটিপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে কপিরাইট করিয়ে নেয়া ভালো। বাংলাদেশের আইন অনুসারে  ছবি ছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রে কোন ব্যক্তির মৃত্যুর পর ৬০ বছর পর্যন্ত কপিরাইট  কার্যকর থাকে। তবে সম্প্রচার সংক্রান্ত ক্ষেত্রে প্রাচারের পর ২৫ বছর পর্যন্ত কপিরাইট কার্যকর থাকে। আন্তর্জাতিক আইনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশে ২০০০ সালে কপিরাইট আইন প্রণয়ন করা হয় এবং এরপর ২০০৫ সালে সেটিতে কিছু পরিবর্তন আনা হয়।
শিল্পকর্ম, বই, কম্পিউটার সফটওয়্যার, গান, চলচ্চিত্র ইত্যাদির কপিরাইট নিবন্ধন করতে হলে আপনাকে যেতে হবে আগারগাঁওয়ের নিবন্ধীকরণ অফিসে। এখান থেকে বিনামূল্যে কপিরাইট আবেদনের ফরম দেওয়া হয়। এটির তিনটি কপি করে সেটা পূরণ করে জমা দিতে হয়, সাথে ৬০০ টাকার ট্রেজারি চালানও দিতে হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক বা সোনালী ব্যাংকের অনুমোদিত শাখায় ট্রেজারি চালান জমা দেয়া যায়। এক্ষেত্রে কোড নম্বর হচ্ছে ১৩৪৩৭ ০০০০ ১৮৪১। বিভিন্ন ধরনের কপিরাইট আবেদনের ফি বিভিন্ন রকমের। বই নিবন্ধনের ক্ষেত্রে বইয়ের দু’টি কপি জমা দিতে হয়। আবার যদি লেখক কপিরাইট নিতে চান সেক্ষেত্রে প্রকাশকের ক্লিয়ারেন্স নিতে হয়, প্রচ্ছদে কোন শিল্পীর শিল্পকর্ম থাকলে ১৫০ টাকার স্ট্যাম্পে সেটিরও ক্লিয়ারেন্স নিতে হয়। সফটওয়্যার, বই বা এরকম কিছুর ক্ষেত্রে ইতোমধ্যে সেটি তৈরি হয়েছে কিনা বা কেউ কপিরাইট করিয়েছে কিনা সেটা অনুসন্ধান করতে হয় এবং সে বাবদ ১৫০ টাকা জমা দিতে হয়। যাচাই বাছাই শেষে ৩০ দিনের মধ্যে সেটা জানানো হয়। চারুশিল্প বা স্থাপত্যকর্মের কপিরাইট নিতে হলে সেটা কোথায় ও কার দখলে আছে এবং কবে তৈরি করা হয়েছে সেসব তথ্য দিতে হয়।

কপিরাইট অফিস : বাংলাদেশ সরকারের কপিরাইট অফিসটি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত হয়। ঠিকানা-
জাতীয় গ্রন্থাগার ও আর্কাইভ ভবন (৩য় তলা)
৩২, এসএম মোরশেদ সরণী, আগারগাঁও, শেরে বাংলানগর, ঢাকা-১২০৭
ফোন : ৯১১৯৩৮০, ৯১১৯৬৩২।

কপিরাইট আইন পাবেন নিচের লিংকে-
http://infopedia.com.bd/?p=2002

মেধাস্বত্ব বা কপিরাইট আইন

 

 

Comments

comments

Comments are closed.