প্রচ্ছদ > অর্থ-বাণিজ্য > নতুন পদ্ধতিতে বাধ্যতামূলক ই-টিআইএন নিতে চাইলে
নতুন পদ্ধতিতে বাধ্যতামূলক ই-টিআইএন নিতে চাইলে

নতুন পদ্ধতিতে বাধ্যতামূলক ই-টিআইএন নিতে চাইলে

পুরোনো পদ্ধতিতে নেওয়া সব টিআইএনধারীকে নতুন পদ্ধতিতে বাধ্যতামূলক ই-টিআইএন নিতে হবে। এমন অবস্থায় কয়েক দফা সময় বাড়ানোর পর আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ই-টিআইএন নেওয়ার সময় বাড়ানো হয়েছে। ২০১৩ সালের জুলাই মাস থেকে ই-টিআইএন দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করে এনবিআর।
আয়কর বিবরণী জমা না দিলে কর কর্মকর্তারা প্রথমে ওই টিআইএনধারীকে কারণ দর্শাও নোটিশ জারি করবেন। এর পরও জবাব না দিলে কিংবা জবাব সন্তোষজনক না হলে জরিমানা করার বিধান রয়েছে আয়কর অধ্যাদেশে।
সম্প্রতি এনবিআর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ই-টিআইএন ছাড়া বার্ষিক আয়কর বিবরণী জমা দেওয়া ছাড়াও ২৫টি সেবা পাবেন না করদাতা। যেসব সেবা মিলবে না সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো- গাড়ির নিবন্ধন ও নবায়ন, বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাসের সংযোগ, ঠিকাদারি লাইসেন্স প্রদান ও নবায়ন ও ব্যাংক সুদের হারের ছাড়। ইতিমধ্যে এসব সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও প্রতিষ্ঠানগুলোতে এনবিআরের নির্দেশনা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
অনলাইনে ই-টিআইএন নিতে হলে ইচ্ছুকদের www.incometax.gov.bd এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। নির্দিষ্ট নির্দেশিকা অনুযায়ী ই-টিআইএনের ফরম পূরণ করতে হবে। সর্বশেষ অনলাইনে আবেদনপত্রটি জমা দেওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে ই-টিআইএন সনদ স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্কিনে ভেসে উঠবে। পরে তা প্রিন্ট নিতে হবে এবং সংরক্ষণ করতে হবে। এভাবে মাত্র কয়েক মিনিটেই স্বয়ংক্রিয় উপায়ে ঘরে বসেই ই-টিআইএন পাওয়া যাবে।
যদি জাতীয় পরিচয়পত্রে দেওয়া তথ্যের সঙ্গে গড়মিল থাকে, তবে নতুন ই-টিআইএনের জন্য আবেদন গ্রহণ করা হবে না। আর যাঁদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই তাঁদের ক্ষেত্রে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ছবি সন্নিবেশিত করতে হবে। আর পুরোনো টিআইএনধারীদের পুনর্নিবন্ধনের ক্ষেত্রে একই উপায়ে ফরম পূরণ করতে হবে। আর কোম্পানি টিআইএনের ক্ষেত্রে যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মগুলোর নিবন্ধকের কার্যালয়ের নিবন্ধন থাকতে হবে।
পুরোনো টিআইএনধারীদের ১০ অংকবিশিষ্ট টিআইএন রয়েছে। পুনর্নিবন্ধনের পর নতুন ১২ অংকবিশিষ্ট টিআইএন ক্রম বা নম্বর পাবেন ওই করদাতা।

Comments

comments

Comments are closed.