জাতীয় পরিচয়পত্র (ন্যাশনাল আইডি কার্ড) নবায়ন, হারানো, সংশোধন এবং এর সঠিকতা যাচাইয়ে সুবিধামতো সময়ে ফি বা চার্জভিত্তিক সেবা চালুর জন্য নির্বাচন কমিশন (ইসি) এ-সংক্রান্ত বিধি ও প্রবিধিমালা আবারও সংশোধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কমিশন সচিবালয় জানায়, বিদ্যমান এনআইডি নবায়ন, হারানো, সংশোধন- এসবের জন্য এখন কোনো ফি দিতে না হলেও আগামী বছর থেকে নির্দিষ্ট অঙ্কের ফি নেওয়া হতে পারে। এ ক্ষেত্রে কারো এনআইডি কার্ড হারিয়ে গেলে ২০০ টাকা জরিমানা দিয়ে নতুন কার্ড নিতে হবে। জরুরি ভিত্তিতে ওই কার্ড সংগ্রহ করতে চাইলে দিতে হবে আরো ১০০ টাকা। ভুল সংশোধনও বিনা মূল্যে হবে না।
গত ১০ সেপ্টেম্বর ‘জাতীয় পরিচয়পত্র ও সংরক্ষিত তথ্য-উপাত্ত সংশোধন’ সংক্রান্ত যে প্রবিধানমালা করা হয়, তাতেই এ ফি নির্ধারণ করা আছে। প্রবিধানমালায় ‘যথাশীঘ্র সম্ভব’ এই ফি গ্রহণের কথা থাকলেও নিজেদের করা বিধি অনুসরণ করতে পারেনি ইসি। এ কারণে ওই বিধি ও প্রবিধিমালা সংশোধন করা হচ্ছে।
এদিকে কমিশন সচিবালয় সূত্র জানায়, কমিশনের পক্ষ থেকে এর আগে উন্নতমানের জাতীয় পরিচয়পত্রের (স্মার্ট এনআইডি কার্ড) ক্ষেত্রে এই ফি গ্রহণের কথা বলা হলেও আগেভাগেই পেপার লেমিনেটেড সাধারণ পরিচয়পত্রের ক্ষেত্রে এটা কার্যকর হতে যাচ্ছে। স্মার্ট এনআইডি কার্ড তৈরির জন্য দরপত্র মূল্যায়নের কাজ এখনো সম্পন্ন হয়নি। কমিশন এবং বিশ্বব্যাংকের স্থানীয় ও আঞ্চলিক অফিস এ কাজ করলেও এ বিষয়ে চূড়ান্ত অনুমোদন দেবে বিশ্বব্যাংকের কেন্দ্রীয় অফিস। কবে সে অনুমোদন মিলবে তা এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। এ অবস্থায় বিদ্যমান কার্ডের ক্ষেত্রেই আগামী বছরের মার্চ থেকে ফিভিত্তিক এনআইডি সেবা চালুর চিন্তাভাবনা কমিশনের।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার ইসি সভায় জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সুলতানুজ্জামান মো. সালেহ উদ্দিন যে কার্যপত্র উপস্থাপন করেন, তাতে জাতীয় পরিচয়পত্র নবায়ন, হারানো পরিচয়পত্রের বদলে নতুন পরিচয়পত্র দেওয়া, এর সংশোধন, সত্যতা যাচাই- এসবের জন্য আগামী ১ জানুয়ারি থেকে ফি বা চার্জ আদায়ের প্রস্তাব করা হয়। কিন্তু ওই প্রস্তাব অনুসারে ১ জানুয়ারি থেকে এ ফি চালুর বিষয়ে কমিশন কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।
