সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগে মৌখিক পরীক্ষার নম্বর ২০ থেকে বাড়িয়ে ৩০ করার সুপারিশ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। রোববার জাতীয় সংসদ ভবনে কমিটির বৈঠকে এই সুপারিশ করা হয় বলে সংসদ সচিবালয় জানায়।
সংসদীয় কমিটির সদস্য আলী আজম বলেন, ’কমিটি মনে করে, মৌখিক পরীক্ষার নম্বর বাড়ানো হলে যোগ্য ও মেধাবী প্রার্থীদের শিক্ষক হওয়ার সুযোগ বেশি তৈরি হবে। মৌখিক পরীক্ষায় আগেও ৩০ নম্বর ছিল৷ অনিয়মের কারণে পরে তা বাতিল করে ২০ নম্বর করা হয়৷’
সংসদীয় কমিটির সুপারিশের বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী মনে করেন, ’এই পদ্ধতি আগেও ছিল এবং তা ত্রুটিপূর্ণ প্রমাণিত হয়েছে। কারণ, জেলা পর্যায়ের কমিটির লোকেরা দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে মৌখিক পরীক্ষায় বেশি নম্বর দিয়ে অযোগ্যদের শিক্ষক হওয়ার সুযোগ করে দিতেন। এ কারণে পদ্ধতিটি বাতিল করা হয়। এখন ওই পদ্ধতি ফিরিয়ে আনা হলে আবারও দুর্নীতি হবে এবং অযোগ্যরা শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাবেন। এতে শিক্ষার মান ব্যাহত হবে৷’
সংসদীয় কমিটির বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা গেছে, এখন থেকে সংসদীয় কমিটির সদস্যরা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় ও বিদ্যালয় পরিদর্শন করবেন। এ জন্য কমিটির সদস্যরা বিভাগওয়ারি দায়িত্ব ভাগ করে নিয়েছেন। কমিটির সভাপতি মোতাহার হোসেন রংপুর বিভাগ, সদস্য সামশুল হক চৌধুরী চট্টগ্রাম বিভাগ, আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন বরিশাল বিভাগ (বরগুনা ও ভোলা বাদ দিয়ে), আবদুর রহমান খুলনা বিভাগ ও ফরিদপুর জেলা, নজরুল ইসলাম ঢাকা বিভাগ,
আবুল কালাম রাজশাহী বিভাগ,আলী আজম ভোলা ও বরগুনা জেলা, মোহাম্মদ ইলিয়াছ সিলেট বিভাগ এবং উম্মে রাজিয়া বৃহত্তর ফরিদুপর জেলায় দায়িত্ব পালন করবেন।