প্রচ্ছদ > ক্যারিয়ার > চাকরির বাজার > বিসিএসে এমসিকিউ তুলে দেয়ার সুপারিশ
বিসিএসে এমসিকিউ তুলে দেয়ার সুপারিশ

বিসিএসে এমসিকিউ তুলে দেয়ার সুপারিশ

বিসিএসে এমসিকিউ তুলে দেয়ার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। মঙ্গলবার কমিটির বৈঠক এই পদ্ধতির বিকল্প কিছু খুঁজে দেখতে সংশ্লিষ্টদের কাছে সুপারিশ রাখা হয়েছে বলে সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, “সত্যিকারের মেধা যাচাইয়ের লক্ষ্যে বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা এমসিকিউয়ের পরিবর্তে অন্য কোন মেধাভিত্তিক পদ্ধতি অনুসরণ করা যায় কি না, তা খতিয়ে দেখার সুপারিশ করা হয়।”

তবে সংসদীয় কমিটির সভাপতি এইচ এন আশিকুর রহমান সাংবাদিকদের বলেছেন, “এ বিষয়টি নিয়ে আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর্যায়ে আছি।”
কমিটি এ নিয়ে আরো একটি বৈঠক করবে বলেও জানান তিনি।

কমিটির সদস্য মুস্তফা লুৎফুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, “কমিটির অধিকাংশ সদস্যই মনে করেন, বিসিএস পরীক্ষায় এমসিকিউ পদ্ধতি তুলে দেওয়া উচিৎ।”

জানা গেছে, সভায় অংশ নেয়া প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমামও সংসদীয় কমিটির সদস্যদের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন। বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনার উদ্যোগ ইতোমধ্যে পিএসসিও নিয়েছে, যা ৩৫তম বিসিএস থেকেই কার্যকরের পরিকল্পনা তাদের।

গত মে মাসে বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার মান ৩০০ নম্বরে উন্নীত এবং পরীক্ষার সময় তিন ঘণ্টা করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছে পিএসসি। ১০০ নম্বরের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় চাকরিপ্রার্থীদের পাসের সংখ্যা অনেক বেশি হয় বলে পিএসসি কর্মকর্তাদের অভিমত।

বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) অধীনে বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় এক ঘণ্টায় ১০০ নম্বরের এমসিকিউর উত্তর দিতে বসতে হয় চাকরিপ্রার্থীদের। বিসিএসে প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণদের লিখিত পরীক্ষা নেয়া হয়। এরপর মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণদের তালিকা তৈরি করা হয়। বিসিএসে ২০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে অনেকের। তাদের দাবি, এতে স্বজনপ্রীতির সুযোগ তৈরি হয়।

Comments

comments

Comments are closed.