প্রচ্ছদ > শিক্ষা > ভর্তি প্রস্ততি > ঘরে বসে কলেজে ভর্তি
ঘরে বসে কলেজে ভর্তি

ঘরে বসে কলেজে ভর্তি

সরকারি-বেসরকারি কলেজগুলোয় একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পরীক্ষার মাধ্যমে নয়, ভর্তি করা হবে ফলাফলের ভিত্তিতে। আবেদন করা যাবে মুঠোফোনে। বিস্তারিত জানাচ্ছেন মাহতাব হোসেন

এবার যারা উত্তীর্ণ হয়েছে তারা ছাড়াও ২০১২ ও ২০১৩ সালে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরাও ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। বিজ্ঞান শাখা থেকে উত্তীর্ণরা বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য; মানবিক শাখা থেকে উত্তীর্ণরা বাণিজ্য ও মানবিক এবং বাণিজ্য শাখা থেকে উত্তীর্ণরা মানবিক ও বাণিজ্যের যেকোনো একটিতে আবেদন করতে পারবে। ২৮ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত টেলিটক মোবাইল থেকে এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে। অনেক কলেজে অবশ্য আবেদন করা যাবে সনাতন পদ্ধতিতেও। পুনর্নিরীক্ষণে যাদের ফল পরিবর্তন হবে তারা ১৬ জুন পর্যন্ত আবেদন করতে পারবে।

জিপিএর ভিত্তিতে ভর্তি
জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে সব বিষয়ের ওপর সর্বোচ্চ ৪৩ গ্রেড পয়েন্ট ধরে জিপিএর ভিত্তিতে মেধাক্রম নির্ধারণ করা হবে। বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তিতে সমান জিপিএপ্রাপ্তদের মেধাক্রম নির্ধারণে সাধারণ গণিত, উচ্চতর গণিত অথবা জীববিজ্ঞানে প্রাপ্ত জিপিএ বিবেচনায় আনা হবে। আর মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ক্ষেত্রে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, গণিত ও বাংলা বিষয়ের গ্রেড পয়েন্ট বিবেচনা করা হবে।

যেসব কাগজপত্র লাগবে
ভর্তির সময় শিক্ষার্থীকে এসএসসি পাসের বা সমমানের নম্বরপত্র নিয়ে আসতে হবে। এ ছাড়া যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়েছে, সেই প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের দেওয়া প্রশংসাপত্র লাগবে।

বড় শহরের ভালো কলেজে ভর্তি
সাতটি বিভাগীয় সদরের কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কলেজের ৮০ শতাংশ সাধারণ আসন। বাকি ১০ শতাংশ আসনের মধ্যে ৩ শতাংশ সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় সদরের বাইরের এলাকার শিক্ষার্থীদের জন্য, ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা ও ২ শতাংশ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এর অধীন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী ও স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। অবশিষ্ট ১০ শতাংশ আসনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ইচ্ছামতো শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে পারবে।

খরচ
ভর্তি ফরমের মূল্য ১২০ টাকা। মফস্বল এলাকা ও উপজেলা সদরের জন্য ভর্তি ফি এক হাজার টাকা, জেলা সদরে সর্বোচ্চ দুই হাজার টাকা। ঢাকার বাইরে মেট্রোপলিটন এলাকার কলেজগুলোতে ভর্তি ফি সর্বোচ্চ তিন হাজার টাকা। ঢাকা মহানগরীর এমপিওভুক্ত কলেজগুলোতে এ ফি সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা; তবে আংশিক এমপিওভুক্ত কলেজগুলো সর্বোচ্চ ৯ হাজার টাকা ও ইংরেজি ভার্সনের কলেজগুলোতে ভর্তি হতে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে। কোনো কলেজ উন্নয়ন ফি বাবদ সর্বোচ্চ তিন হাজার টাকা নিতে পারবে। তবে গরিব ও অর্থনৈতিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের জন্য সর্বোচ্চ ছাড় দিয়ে ভর্তি করানোর কথা বলেছে বোর্ড।

ভর্তি বাতিল করে অন্য কলেজে ভর্তি
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই প্রথম কলেজের ভর্তি বাতিল করতে হবে এবং অন্য কলেজে ভর্তির আবেদন করতে হবে।
এ ক্ষেত্রে অভিভাবকের সম্মতিসহ সংশ্লিষ্ট কলেজে ভর্তি বাতিলের আবেদন জানালে নম্বরপত্র ফেরত দেওয়া হবে। এ জন্য বোর্ডের অনুমতিপত্রের প্রয়োজন হবে না।

আবেদন করা যাবে যেভাবে
সব কলেজে মুঠোফোনে আবেদনের নিয়ম একই। আবেদন করা যাবে টেলিটক মোবাইল সংযোগ থেকে। তবে আগেই জেনে নিতে হবে ভর্তীচ্ছু কলেজের ইআইআইএন (EIIN) নম্বর। মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে CAD <space> কাঙ্ক্ষিত কলেজের EIIN নম্বর <space> কাঙ্ক্ষিত গ্রুপের নামের প্রথম অক্ষর <space> এসএসসি/সমমান পরীক্ষার বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর <space> পরীক্ষার রোল নম্বর <space> পরীক্ষার পাসের সাল <space> শিফটের নাম <space> ভার্সন <space> কোটার নাম লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে।
উদাহরণ : CAD 108573 S DHA 123456 2014 M B FQ

 

ঢাকার যেসকল কলেজে এস.এম.এস এর মাধ্যমে ভর্তির আবেদন করতে হবে

কলেজের নাম

ইআইএন নাম্বার

বিসিআইসি কলেজ

108222

বি.এ.এফ. শাহীন কলেজ

107858

বি. এন. কলেজ, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট

107854

বেগম বদরুন্নেসা মহিলা কলেজ

108155

বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ

108161

বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আবদুর রউফ রাইফেলস কলেজ

108162

ক্যামব্রিয়ান কলেজ

132140

সেন্ট্রাল ওমেন্স কলেজ

108512

ধনিয়া কলেজ

107909

ঢাকা সিটি কলেজ

107977

ঢাকা কলেজ

107977

ঢাকা কমার্স কলেজ

108207

ঢাকা ইম্পেরিয়াল কলেজ

107974

ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজ

108509

সরকারী বাংলা কলেজ

108210

কবি নজরুল সরকারী কলেজ

108507

সরকারী বিজ্ঞান কলেজ

108535

শহীদ সোহরাওয়ার্দী সরকারী কলেজ

108508

গুলশান কমার্স কলেজ

131904

হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজ

108351

হলিক্রস কলেজ

131962

আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল

108277

লালমাটিয়া মহিলা কলেজ

108251

মাইলস্টোন কলেজ

108572

মিরপুর গার্লস আইডিয়াল ল্যাবরেটরী স্কুল

108221

মির্জা আব্বাস মহিলা কলেজ

108275

মতিঝিল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ

130865

ন্যাশনাল আইডিয়াল কলেজ

132078

নিউ মডেল ডিগ্রী কলেজ

108250

নটরডেম কলেজ

108274

কুইন মেরী কলেজ

134219

রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ

108573

রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ

108258

সেন্ট জোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়

108259

স্কলার্স সিটি কলেজ

131893

শহীদ বীর উত্তম লে: আনোয়ার গার্লস কলেজ

132143

শেখ বোরহানউদ্দীন কলেজ

108137

সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ

108352

তেজগাঁও কলেজ

108533

উত্তরা হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ

108538

ভিকারুননিসা নুন কলেজ

108357

২০১৩ সালের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলে ঢাকা বোর্ডের সেরা ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে –

অবস্থান

নাম

ফলাফল

১.

রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ

সরকারি হিসাবে র‌্যাংকিংয়ে স্কুলটির প্রাপ্ত পয়েন্ট ৯৭ দশমিক ২৯। এ বছর কলেজটির মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ হাজার ২১৮। প্রতিষ্ঠানটির একজন বাদে সবাই পাস করেছে। এদের মধ্যে মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ১২৭ জন।

২.

আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজ, নরসিংদী

এই কলেজটির অর্জিত পয়েন্ট ৯২.৯৬। কলেজটির মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৩৭৮ জন। পাসের হার শতভাগ। এদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৩৩ জন।

৩.

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ

মেধা তালিকার দিক দিয়ে গত বছর কলেজটির অবস্থান চতুর্থ থাকলেও এবার এক ধাপ এগিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রাপ্ত পয়েন্ট ৯২ দশমিক ৫২। কলেজের মোট পরীক্ষার্থী সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৩৪৭ জন। এদের মধ্যে পাস করে ১ হাজার ৩৪৫ জন। কলেজ থেকে মোট ১ হাজার ৩৫ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে।

৪.

রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ

এই কলেজের অর্জিত পয়েন্ট ৯০.৭২। গত বছর কলেজটির অবস্থান ৬ষ্ঠ স্থানে থাকলেও এবার দুই ধাপ উপরে উঠে এসেছে। কলেজের মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৬৬২ জন। প্রতিষ্ঠানটি থেকে দুজন বাদে সবাই পাস করেছে। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে মোট ৪৮৭ জন পরীক্ষার্থী।

৫.

ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজ

গত বছর কলেজটির অবস্থান তৃতীয় স্থানে থাকলেও এবার র‌্যাংকিংয়ে নিচে নেমে আসে। ৯০ পয়েন্ট পেয়ে লাভ করে পঞ্চম স্থান। এ বছর প্রতিষ্ঠানটির ৪৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সবাই জিপিএ-৫ পেয়েছে।

৬.

নটরডেম কলেজ

এই কলেজের প্রাপ্ত পয়েন্ট ৮৯.৬৮। এই প্রতিষ্ঠানটি গত বছরের ৫ম অবস্থান ধরে রাখতে পারেনি। এ কলেজের মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৫৩৮ জন। এদের মধ্যে পাস করে ২ হাজার ৫২৩ জন। কলেজ থেকে মোট ১ হাজার ৭৬৬ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে।

৭.

ক্যামব্রিয়ান কলেজ

তাদের অর্জিত পয়েন্ট ৮৮ দশমিক ৭৫। গত বছর সেরা দশের তালিকায় না থাকলেও এবার প্রতিষ্ঠানটি সেরা তালিকায় নিজেদের অবস্থান নিশ্চিত করে। প্রতিষ্ঠানের মোট পরীক্ষার সংখ্যা ছিল মোট ১ হাজার ৩৪৭ জন। প্রতিষ্ঠানটির দুজন বাদে সবাই পাস করে। জিপিএ-৫ পেয়েছে মোট ৯৪০ জন।

৮.

মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ

এই কলেজের মোট পয়েন্ট ৮৭.৮২। কলেজের মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৪১ জন। এদের মধ্যে একজন বাদে সবাই পাস করে। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে মোট ৪০ জন।

৯.

হলিক্রস কলেজ

সেরা দশে গত বছর প্রতিষ্ঠানটির কোনো অবস্থান না থাকলেও এবার ৮৭ দশমিক ৮১ পয়েন্ট পেয়ে এই তালিকায় নিজেদের অবস্থান নিশ্চিত করে। এই কলেজ থেকে মোট ১ হাজার ২২৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করে ১ হাজার ২১০ জন। এদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে মোট ৭৯৯ জন।

১০.

ঢাকা কলেজ

পাঁচ ধাপ উন্নীত হয়ে দশম ঢাকা কলেজের পাসের হার ৯৮ দশমিক ৩২ শতাংশ। এক হাজার ৭২ পরীক্ষার্থীর মধ্যে এক হাজার ৫৪ জনই পাস করেছেন। জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৬৭৫ জন।

ঢাকা বোর্ডের অন্য সেরা ১০টি কলেজের মধ্যে রয়েছে –

স্থান

কলেজের নাম

১১. ন্যাশনাল আইডিয়াল কলেজ, খিলগাঁও।
১২. এসওএস হারমান মেইনার কলেজ, মিরপুর।
১৩. আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ, ঢাকা সেনানিবাস।
১৪. বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ, লালবাগ।
১৫. শামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ডেমরা।
১৬. ঢাকা সিটি কলেজ, ধানমন্ডি।
১৭. ঢাকা কমার্স কলেজ, মিরপুর।
১৮. আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল।
১৯. শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজ, ময়মনসিংহ।
২০. ট্রাস্ট কলেজ, উত্তরা।

 

বিভিন্ন কলেজের ভর্তির দরকারি তথ্য নিয়ে বিশেষ আয়োজন আসছে!
অপেক্ষা করুন

 

Comments

comments

Comments are closed.