ইনফোপিডিয়া ডেস্ক :::
আগামী ২৪ মার্চ থেকে ৩৪তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা শুরু হবে। ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও রংপুর কেন্দ্রে একযোগে এ পরীক্ষা হবে। পরীক্ষার কেন্দ্র ও বিস্তারিত সূচি পরবর্তীতে জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হবে।
গত বছরের ৮ জুলাই কোটার ভিত্তিতে ৩৪তম বিসিএসের প্রিলিমিনারির ফল দেয়া হয়, এতে ১২ হাজার ৩৩ জন উত্তীর্ণ হন।
এই ফলে ‘মেধাবী’ অনেকেই বাদ পড়েছেন অভিযোগ তুলে ১০ জুলাই থেকে আন্দোলন শুরু করেন চাকরিপ্রার্থীরা। কোটার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরাও ওই আন্দোলনে যোগ দেন।
শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে গত ১৪ জুলাই ৩৪তম বিসিএসের পুনর্মূল্যায়িত ফল দেয়া হয়। এতে রেকর্ড সংখ্যক ৪৬ হাজার ২৫০ জন উত্তীর্ণ হন।
আগের উত্তীর্ণ সবাইকে রেখেই পুনর্মূল্যায়িত ফল দেয়া হয়েছে বলে পিএসসি দাবি করলেও প্রথমবার উত্তীর্ণদের মধ্যে ২৮০ জন উপজাতি বাদ পড়েন।
এ নিয়ে ‘বঞ্চিত আদিবাসীরা’ পিএসসি ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কাছে লিখিত আবেদন করেন। বিভিন্ন কর্মসূচিও পালন করেন তারা।
এরপরেও তাদের উত্তীর্ণের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না হওয়ায় আগের ফলে উত্তীর্ণ ৫৯ জন আবেদনকারীর পক্ষে ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া গত বছরের ২৮ জুলাই হাইকোর্টে রিট করেন।
প্রথম ফলে উত্তীর্ণ ২৮০ জনকে বাদ দিয়ে প্রকাশিত ৩৪তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার পুনর্মূল্যায়িত ফল কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- সেই মর্মে রুল চাওয়া হয়।
এই রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ৩১ জুলাই এক আদেশে প্রথম ফলে উত্তীর্ণ ৫৯ রিটকারীসহ ২৮০ জনকে বাদ দিয়ে প্রকাশিত ফল কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চায়।
এছাড়া পুনর্মূল্যায়িত ফলে উপজাতি কোটায় আবেদনকারীদের বাদ দেয়ার কারণও জানতে চায় হাইকোর্ট।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি বাদ পড়া ‘আদিবাসী’দের যোগ করে চৌত্রিশতম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার পুনর্মূল্যায়িত ফল আবারো প্রকাশের নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট।
হাই কোর্টের নির্দেশের পাঁচ দিন পর ‘বাদপড়া’ উপজাতিদের লিখিত পরীক্ষার জন্য যোগ্য ঘোষণা করে একই দিন লিখিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হলো।