বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর চারুকলা বিভাগ আয়োজিত ১০ দিনব্যাপি জাতীয় ভাস্কর্য প্রদর্শনী শুরু হলো আজ। প্রদর্শনীটি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় চিত্রশালা ভবনের তৃতীয় তলায় চলবে আগামী ১০দিন ধরে। প্রদর্শনীতে স্থান পেয়ছে ৭৮জন ভাস্কর্য শিল্পীর ১০৫টি শিল্পকর্ম।
অগ্রজদের সঙ্গে নবীনভাস্করদের নতুন নতুন কাজ ও পরিক্ষা নিরীক্ষার এই মেলবন্ধন নিশ্চয়ই ভবিষ্যতে ভাস্কর্য শিল্পকে আরও নান্দনিক ও গতিময় করে তুলবে এমন প্রত্যাশা নিয়ে প্রদর্শনীর শুভ উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব আসাদুজ্জামান নূর এম.পি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরেণ্য ভাস্কর সৈয়দ আবদুল্লাহ খালিদ ও শিল্পী সমরজিৎ রায় চৌধুরী, সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালক লিয়াকত আলী। উপস্থিত ছিলেন চারুকলা বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, সহকারি পরিচালক মোস্তাক আহমেদ, ইনেস্ট্রাক্টর প্রদ্যোত কুমার দাস।
এদেশে প্রাতিষ্ঠানিক ভাস্কর্যচর্চার সূচনা হয় ১৯৬৩ সালে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের আগ্রহে শিল্পী ও ভাস্কর্য আবদুর রাজ্জাকের তত্ত্বাবধানে ঢাকার চারুকলা মহাবিদ্যালয়ে ভাস্কর্য বিভাগের যাত্রারাম্ভ থেকে। নভেরা ও রাজ্জাক ছাড়াও এদেশে প্রথম প্রজন্মের আধুনিক ভাস্কর্যদের মধ্যে নিতুন কুণ্ডুও ছিলেন, যদিও তার উল্লেখযোগ্য ভাস্কর্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবাস বাংলাদেশ আশির দশকের কাজ। আনোয়ারা জাহান বাংলাদেশ সৃষ্টির পূর্বাপর একজন সৃজনশীল ভাস্কর হিসেবে সুপরিচিত ছিলেন। আমাদের দেশের নানা সংকট আর পরিবেশগত সমস্যার প্রতি দৃষ্টিনিবন্ধ করে স্থাপনা আর ভাস্কর্য মিলিয়ে বেশ কিছু অনুভূতিপ্রবণ কাজ করেছেন শিল্পী ঢালী আল মামুন, মাহাবুব জামাল শামিম, লালা রুখ সেলিম, আশোক কর্মকার, মাহাবুবুর রহমান ও তৈয়বা বেগম মিলি।