রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেনশন সিটিতে এখন থেকে হেলিকপ্টারেই আসা যাবে। একই সঙ্গে অতিথিদের অধিক নিরাপত্তার জন্য সিটির ভেতরেই রাখা হয়েছে গাড়ি চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার যাবতীয় সুবিধা। আর এই গাড়িগুলো চলবে সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায়। তথ্যপ্রযুক্তির চরম উৎকর্ষ, নিরাপত্তা ও আধুনিক সুযোগ-সুবিধার সমাহার ঘটেছে রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেনশন সিটিতে। আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকেই চালু হচ্ছে দেশের বৃহত্তম এই কনভেনশন সিটি।
কুড়িল বিশ্বরোডের যে ফ্লাইওভারটির একটি মুখ বিমানবন্দর থেকে নতুন ৩০০ ফুট চওড়া সড়কের চার লেন হয়ে পূর্বাচলের দিকে গেছে, ওই সড়ক ধরে কিছুদূর এগোলেই হাতের বাঁয়ে কনভেনশন সেন্টারগুলো চোখে পড়বে। চারটি সেন্টার মিলে এর নামকরণ করা হয়েছে বসুন্ধরা কনভেনশন সিটি। এর আয়তন এক লাখ ৩০ হাজার ৮৭০ বর্গফুট। এই বিশাল এলাকাজুড়ে এর মূল পার্টিয়িং স্পেস। চারটি সেন্টারেই রয়েছে অনেকটা একই ধরনের সুযোগ-সুবিধা। প্রতিটি সেন্টারের হলগুলোর মাঝে এখানে-সেখানে পিলার বা কলাম অসুবিধা সৃষ্টি করবে না। পুরো ফাঁকা স্থানটি নিজের ইচ্ছামতো ভাগ করে ব্যবহার করা যাবে। সেন্টারগুলোতে রয়েছে দেড় হাজারের বেশি গাড়ি পার্কিং সুবিধা। তা ছাড়া অনুষ্ঠানে কারো এমন অতিথি থাকতে পারেন, যাঁরা আগেভাগেই চলে আসবেন। তাঁদের দীর্ঘ সময় থাকার জন্যও ব্যবস্থা রয়েছে সেন্টারে। এখানেই রয়েছে সব ধরনের আবাসিক সুযোগ-সুবিধা।
পুরো কনভেনশন সিটিতে থাকছে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা। এখানে-সেখানে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে, রয়েছে নিরাপত্তার কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণকক্ষ। মালপত্র ওঠানো-নামানোর জন্য পৃথক লোডিং ও আনলোডিং ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে এই সেন্টারগুলোতে। বাইরের আলো ও তাপ যাতে ভেতরের পরিবেশে প্রভাব ফেলতে না পারে সে জন্য বসানো হয়েছে লাইট অ্যান্ড হিট ডিফিউজিং গ্লাস।
বিশাল লবি এরিয়া স্বাচ্ছন্দ্যে পার্টির সুবিধা দিচ্ছে। যদি কারো প্রয়োজন হয় নিঃশব্দ পরিবেশ তার জন্য সেন্টারগুলোর ইন্টেরিয়র ওয়াল থাকছে সম্পূর্ণ সাউন্ড প্রুফ। রয়েছে অডিও-ভিজ্যুয়াল কন্ট্রোল রুম। আর নাটক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের সুবিধার জন্য থাকছে গ্রিনরুমের সুবিধা। আর অনুষ্ঠানের জন্য লাইটিং বা সাউন্ড সিস্টেমও রয়েছে এই কনভেনশন সেন্টারে। সার্বক্ষণিক বিদ্যুতের জন্য রয়েছে স্ট্যান্ডবাই জেনারেটর, থাকছে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগে ইন্টারকম সুবিধা, ওয়াশরুমসহ সর্বত্র একই সঙ্গে ঠাণ্ডা ও গরম পানির লাইন, প্রতিটি সেন্টারে রান্নার জন্য ডাবল কিচেন।
তথ্যপ্রযুক্তির সুবিধা দিতে পুরো কনভেনশন সিটি আনা হয়েছে ওয়াইফাই সুবিধার আওতায়। শুধু এখানেই শেষ নয়, অনুষ্ঠান আয়োজনে যাঁদের সেন্টারে থেকে কাজ করতে হবে কিংবা তদারকি করতে হবে তাঁদের জন্য আছে ২৪ ঘণ্টার ক্যাফে। এখানেই থাকছে উপহার সামগ্রী কেনার সুযোগ। আরো থাকছে বিউটি পার্লার ও সেলুন। সেন্টারের কর্মযজ্ঞ ও প্রয়োজনীয়তার সঙ্গে মিল রেখে এখানে গড়ে উঠছে বিশেষ বিপণিকেন্দ্রও। নামাজ আদায়ের জন্য প্রতিটি সেন্টারেই রয়েছে বড় বড় স্পেস।
বিয়ে, আন্তর্জাতিক/জাতীয় করপোরেট সেমিনার, ফ্যাশন শো, বাণিজ্য মেলা, প্রদর্শনী, গাড়ি মেলা, সেলস কিংবা ডিলার কনফারেন্স, কনভোকেশন, করপোরেট ডে আউট কিংবা নাইট, স্কুল কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা, বার্ষিক সাধারণ সভা কিংবা বিশেষ সাধারাণ সভা, যেকোনো আয়োজনে ব্যবহৃত হতে পারে এই সেন্টারগুলো। চলতি বছরের ১ সেপ্টেম্বর থেকে কনভেনশন সিটি ব্যবহারের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত করা হচ্ছে। একই সঙ্গে বুকিংও চলছে। যারা ১ সেপ্টেম্বর থেকে আগামী বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি স্লটে বুকিং নেবেন তাঁদের জন্য রয়েছে আকর্ষণীয় অফার। বুকিং দিয়ে জিততে পারেন সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড এবং আরো অনেক আকর্ষণীয় স্থানে মধুচন্দ্রিমার প্যাকেজ।
বুকিংয়ের জন্য যোগাযোগ করতে হবে ০১৮১৯২৫১৯৪০, ০১৭৬৮৫৩৩১৫১, ০১৮১৯৪১২৮৩২, ০১৯৩৮৮৭৩২১৭ কিংবা ৮৪০১২১৪, ৮৪০১৮৯৫ নম্বরে। ই-মেইল করতে পারেন reservationbg.com.bd ঠিকানায়। বিস্তারিত তথ্য মিলবে bashundharaconvention.com-এ।
