সোমনূর মনির কোনাল বর্তমান সময়ের আলোচিত একজন কণ্ঠশিল্পী। নিজের প্রথম একক এ্যালবাম ‘কোনালের জাদু’ বেশ কিছু গান শ্রোতা মহলে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। তার শৈশব কেটেছে কুয়েতে, বর্তমানে গানের টানেই বসবাস করছেন বাংলাদেশে। সম্প্রতি তিনি ইনফোপিডিয়ার মুখোমুখি হয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে কথোপকথনের বিস্তারিত জানাচ্ছেন সাইমুম সাদ
রোদ্দুর মাখা মিষ্টি সকাল সকালটা কোনালের জন্য একটু আলাদা। ঘুম থেকে উঠেই ঢুলুঢুলু চোখে রোজকার পত্রিকার পাতায় চোখ বুলান। সবার আগে চোখ রাখেন ফিচার পাতাগুলোতে। খুটিয়ে খুটিয়ে পছন্দের ফিচারগুলো এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেলেন। তবে দেশের চলমান খবরগুলো নিয়ে কোনালের খুব এক আগ্রহ নেই বললেই চলে। কিন্তু ভুল করে হলেও প্রতিদিন বিনোদন পাতাগুলোতে চোখ বুলাতে কখনই ভুল করেন না।
পত্রিকা পর্ব শেষ হতে কি না হতেই ফেসবুকে ঢুঁ মারেন। নটিফিকেশন চেক করতে করতেই টেবিলে নাস্তা চলে আসে। নাস্তা শেষে চায়ের কাপে দু’চুমুক দিয়েই বেরিয়ে পড়েন ক্যাম্পাসের পথে.. যে রাধে সে চুলও বাঁধে কোনালে কণ্ঠযশে শ্রোতারা মুগ্ধ হলেও তার হাত যশেও কিন্তু তিনি কম যান না। মজার মজার সব খাবার রান্না করতে পারেন। তাই একটু সময় পেলেই রান্নাঘরে উঁকি মারেন। পছন্দের রেসিপিগুলো রেঁধে ফেলেন। কিন্তু সমস্যা বাধে মাছ রাঁধতে গেলে কারণ তিনি একদমই মাছ রান্না করতে পারেন না।
চায়ের কাপে তোলেন ঝড় ব্যক্তিগত জীবনে কোনাল তুমুর আড্ডাবাজ। একটু ছুঁতো পেলেই মেতে ওঠেন প্রাণোচ্ছল আড্ডায়। বিশেষ করে ক্যাম্পাসে কিংবা কোন রেস্টুরেন্টই চা হাতে বসলে তো আর কোন কথায় নেই। কথার ফুলঝুড়িতে চায়ের কাপে ঝড় ওঠে। বন্ধুমহলে কোনালকে হাসি-খুশিই বেশি দেখা যায়। মুখটা গোমড়া করে থাকেন না বললেই চলে। তার আড্ডার এত এনার্জির উৎস কি? জিজ্ঞাসা করলে হাসি মুখেই জানালেন, ‘আমি কখনই মানসিক চাপে থাকি না। এ জন্যই জীবনটাকে উপভোগ করতে পারি।’
অখন্ড অবসরে কোনালের জীবনে অবসর বলতে আলাদাভাবে কোন সময় নেই। গানের কোন রেকর্ডিং, স্ট্রেজ পারফর্ম বাদ দিলে কোনালের ব্যস্ততা খুব একটা নেই। তার প্রতিটি দিনই কাটে বাধনছেড়া উচ্ছলতায়। কোনালের কাছে অবসর বলতেই হাসি, আড্ডা আর গান। এর মাঝে একটু সময় করে বসে পড়েন বই নিয়ে। তবে এগুলো সিলেবাসের গদবাঁধা কোন বই নয়,গল্প, কবিতার বই। কবিতা-উপন্যাস পড়েন,তবে সবচেয়ে ভাল লাগে ছোট গল্প। এছাড়াও আর কি করেন জিজ্ঞাসা করলে কোনাল জানালেন ‘মায়ের কণ্ঠে গান শুনি’