প্রচ্ছদ > বিনোদন > প্রস্তুত জাতীয় ঈদগাহ
প্রস্তুত জাতীয় ঈদগাহ

প্রস্তুত জাতীয় ঈদগাহ

পবিত্র ঈদুল ফিতরের আর বাকি নেই। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা জানান, জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত আয়োজনের সব প্রস্তুতি তাঁরা শেষ করে এনেছেন। এ জন্য ব্যয় হয়েছে তাঁদের প্রায় ৫৮ লাখ টাকা। এ ছাড়া পূর্ত মন্ত্রণালয়ের ব্যয় হয়েছে আরও আড়াই লাখ টাকা। তাঁদের দাবি, একমাত্র ঝড়ের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয় ছাড়া কোনো কিছুই জাতীয় ঈদগাহ ঈদের নামাজে বাধা হতে পারবে না।
পুরো ঈদগাহ ময়দানে সামিয়ানা টাঙানোর কাজ শেষ। নিরাপত্তা ক্যামেরা বসানোর কাজ করছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কর্মীরা। সাজসজ্জার কাজও চলছে সমান তালে। পুলিশ, র্যাবের দুটি আলাদা নিয়ন্ত্রণকক্ষ তৈরি হয়ে গেছে। ঈদগাহ ময়দানের মূল ফটকের পাশেই বসানো হয়েছে ১২০টি ওজুখানা।
জানা গেছে, এবারের ঈদের জামাত আয়োজনের প্রস্তুতিতে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ব্যয় করা হয়েছে ৬০ লাখ টাকার মতো। বাঁশ, প্যান্ডেল, ত্রিপল, বৈদ্যুতিক পাখা বসানোসহ আনুষঙ্গিক কাজ তত্ত্বাবধানের কাজ করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। এ ছাড়া পানি সরবরাহ, মাঠে বালু ফেলার কাজে পূর্ত মন্ত্রণালয়ের খরচ হয়েছে আরও প্রায় আড়াই লাখ টাকা। দরপত্রের মাধ্যমে প্রস্তুতির দায়িত্ব পেয়েছিল পুরান ঢাকার চানখারপুলের মেসার্স পেয়ারু অ্যান্ড সন্স নামের একটি ডেকোরেটর। ১৫ দিন আগে থেকে ঈদগাহ ময়দানে অস্থায়ীভাবে এই সামগ্রীগুলো স্থাপনের কাজ তারা শুরু করেছিল।
পেয়ারু অ্যান্ড সন্সের ব্যবস্থাপক মো. মোজাম্মেল হক জানান, প্রতি ঈদের জন্য দরপত্রে ৫৮ লাখের কিছু বেশি টাকায় তাঁরা এই কাজ পেয়েছেন। সামনের কোরবানির ঈদের জামাতের আয়োজনের কাজও তাঁরা করবেন। বেশ কয়েক বছর ধরে ঈদগাহ ময়দানে কাজ তাঁদের প্রতিষ্ঠান করছে।
প্রায় ৪৩ হাজার বাঁশ দিয়ে সামিয়ানা তৈরি, বৃষ্টির পানি ঠেকাতে ত্রিপলে ঢেকে দেওয়া হয়েছে ঈদগাহ ময়দানের দুই লাখ ৭৯ হাজার বর্গফুট এলাকা। এসব অস্থায়ী সরঞ্জাম সরাতে ঈদের পর আরও ১৫ দিন চলে যাবে। প্রতিদিন ১২০ জন কর্মী দিন-রাত কাজ করছেন এখানে। ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, শুধু ঈদগাহ মাঠে বসানো হবে ৬৪টি ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা। রাষ্ট্রপতিসহ বিশিষ্টজনেরা ঈদের নামাজ পড়তে আসবেন হাইকোর্টের প্রধান ফটক দিকে। সর্বসাধারণের জন্য খোলা থাকবে ঈদগাহ ময়দানের প্রধান ফটক। তবে নিরাপত্তা তল্লাশির পরই সবাই ঈদগাহ ময়দানে প্রবেশ করতে পারবেন।

Comments

comments

Comments are closed.