প্রচ্ছদ > বিনোদন > বিনোদন মিলবে বিনোদন পার্কে
বিনোদন মিলবে বিনোদন পার্কে

বিনোদন মিলবে বিনোদন পার্কে

রোজ সকাল সকাল অফিস। বিকেল হলে রুটিন বেঁধে বাসায় ফেরা। গৃহিনীরাও থাকেন একরকম গৃহবন্ধী। এই জীবন গৎবাঁধা জীবন আর কতদিন ভালো লাগে? একঘেঁয়ে জীবন থেকে মুক্তি পেতে পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন আশাপাশের বিনোদন পার্ক থেকে। জেনে নিন দরকারি তথ্য-

এলাকা ভেদে পার্কের অবস্থান
গুলশান
গুলশান ওয়ান্ডারল্যান্ড (গুলশান ২ নম্বর সিগন্যাল থেকে গুলাশান ১ নম্বরের দিকে ২০০ গজ এগিয়ে হাতের বাম পাশে থেকে গুলশান ওয়ান্ডার ল্যান্ড অবস্থিত)
গুলশান লেক  (গুলশান ২ নম্বর থেকে নতুন বাজার যেতে মাঝ পথে অবস্থিত)
গুলশান পার্ক (গুলশান ২ নম্বর থেকে ২০০ গজ উত্তর দিকে এগিয়ে হাতের বাম পাশে অবস্থিত)

ধানমন্ডি
ধানমন্ডি লেক (শুক্রাবাদ মোড় থেকে শুরু করে দক্ষিণ দিকে কলাবাগান  এবং পশ্চিম দিকে জিগাতলা পর্যন্ত বিস্তৃত)।
রায়ের বাজার বধ্যভূমি (ধানমন্ডি সাবেক ১৫ নম্বর থেকে সোজা পশ্চিম দিকে)

শাহবাগ
রমনা পার্ক (শাহবাগ থেকে মত্সভবন যেতে হাতের বাম দিকে)।
শাহবাগ শিশুপার্ক ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান (শাহবাগ থেকে মত্সভবন যেতে হাতের ডান দিকে অবস্থিত)।

পুরান ঢাকা
ভিক্টোরিয়া পার্ক (পুরান ঢাকার রায়সাহেব বাজার মোড় থেকে দক্ষিণ দিকে ২০০ গজ এগিয়ে হাতের বাম পাশে অবস্থিত)।
বলদা গার্ডেন (টিকাটুলীর রাজধানী সুপার মার্কেটের পশ্চিম পাশে অবস্থিত)।
জিন্দাবাহার পার্ক (নয়াবাজার  ডিআইটি মার্কেটের দক্ষিণ পাশে অবস্থিত)
সায়েদাবাদ ওয়ান্ডারল্যান্ড (সায়েদাবাদ রেলগেটের উত্তর পশ্চিম কোনে অবস্থিত)।
ওসমানী উদ্যান (সাবেক নগর ভবন এবং বর্তমান ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন অফিসের উত্তর পাশে অবস্থিত)।
সিক্কাটুলী পার্ক (বংশাল নর্থসাউথ রোড নতুন চৌরাস্তায় অবস্থিত ওয়ালটন শোরুমের পাশ দিয়ে ১০০ গজ পশ্চিম দিকে এগিয়ে হাতের বামে পাশে অবস্থিত)।

মিরপুর
দিয়া বাড়ী ও চটবাড়ী (মিরপুর ১ নং সিগনাল থেকে ৫০০ গজ পশ্চিম দিকে এগিয়ে হাতের ডান পাশে ৫০ গজ সামনে দিয়ে বয়ে গেছে তুরাগ নদী, এই নদীর পার ঘেঁষে অবস্থিত।
চিড়িয়াখানা এবং বোটানিক্যাল গার্ডেন (মিরপুর ১ নম্বরের সনি সিনেমা হলের সামনে দিয়ে দক্ষিণ দিকের রাস্তা দিয়ে একবারে শেষ মাথায় অবস্থিত)।

বিজয় স্মরণী
চন্দ্রিমা উদ্যাণ (বিজয় স্মরণী সিগন্যালের পশ্চিম উত্তর কোনা এবং সংসদ ভবনের উত্তর দিকে অবস্থিত)।

শ্যামলী
শিশুমেলা (শ্যামলী এসওএস শিশুপল্লীর ঠিক উত্তর পাশে অবস্থিত)।

উত্তরা
উত্তরা লেক (উত্তরা আবাসিক এলাকার ভিতরে অবস্থিত)
আশুলিয়া বেরিবাঁধ (তুরাগ এলাকা)

ঢাকার বাইরে
জাতীয় স্মৃতি সৌধ (নবীনগর, সাভার)।
ফ্যান্টাসী কিংডম, ওয়াটার কিংডম, হেরিটেজ ওয়ার্ল্ড (জামগড়া, আশুলিয়া)।
নন্দন পার্ক, ওয়াটার ওয়ার্ল্ড (চন্দ্রা)।

যেসব পার্কে প্রবেশ করতে টিকেটের প্রয়োজন
গুলশান ওয়ান্ডারল্যান্ড
শাহবাগ শিশুপার্ক
বলদা গার্ডেন
সায়েদাবাদ ওয়ান্ডার ল্যান্ড
চিড়িয়াখানা
বোটানিক্যাল গার্ডেন
শিশুমেলা
ফ্যান্টাসী কিংডম, ওয়াটার কিংডম, হেরিটেজ ওয়ার্ল্ড
নন্দন পার্ক, ওয়াটার ওয়ার্ল্ড
বাকী পার্কগুলোতে প্রবেশ করতে টিকেট সংগ্রহের প্রয়োজন নেই।

প্রকৃতির ছোঁয়া
রমনা, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, চন্দ্রিমা উদ্যান, ধানমন্ডি লেক, জাতীয় স্মৃতি সৌধ, রায়ের বাজার বধ্যভূমি, বোটানিক্যাল গার্ডেন, বলদা গার্ডেন, দিয়াবাড়ী ও চটবাড়ী, আশুলিয়া বেড়িবাঁধ, উত্তরা লেক, গুলশান লেক ও পার্ক, ভিক্টোরিয়া পার্ক, উসমানী উদ্যান এবং জিন্দাবাহার পার্কে সরাসরি প্রকৃতির ছোঁয়া পাওয়া যায়। এই পার্কগুলোতে ঘাসের গালিচা বিছানো বিস্তৃত পথের সাথে রয়েছে ইট বাধানো পাকা হাঁটার রাস্তা।
ভ্রমণ পিপাসুদের বসার জন্য ঘাসের গালিচার পাশাপাশি রয়েছে লোহা ও ইটের তৈরী পাকা বসার বেঞ্চ। আর প্রাকৃতিক বন্ধু সারিসারি চেনা অচেনা গাছ।
এই পার্কগুলোতে সকালে ও বিকেলে হাঁটার উপযুক্ত পরিবেশ পাওয়া যায়।
কোলাহল পূর্ণ এই নগরীতে বুক ভরে বিশুদ্ধ বাতাস নেওয়ার উপযুক্ত সকল উপকরণ রয়েছে এই পার্কগুলোতে। বাচ্চাদের ছোটাছুটি করার জন্য রয়েছে অবারিত জায়গা।
এই পার্কগুলোতে সকাল ৬টা থেকে মাগরিবের আযান দেওয়া পর্যন্ত নিশ্চিন্তে সময় কাটানো যায়। সকল ঋতুতে এই পার্কগুলোর প্রাকৃতিক পরিবেশ ভিন্ন ভিন্ন সাজে দর্শনার্থীদের সামনে উপস্থিত হয়ে থাকে।
ধানমন্ডি লেক, দিয়াবাড়ী ও চটবাড়ী এবং আশুলিয়া বেড়িবাঁধে ঘন্টা প্রতি নৌকা বা ওয়াটার বোটে ভ্রমণের সুযোগ রয়েছে। ধানমন্ডি লেকে পায়ে চালিত বোটে ৩০ মিনিটে খরচ পড়ে ১০০ টাকা এবং ১৫ মিনিটে খরচ পড়ে ৫০ টাকা। এই বোটগুলোতে প্রাপ্ত বয়স্ক হলে ২ জন এবং শিশুসহ হলে সর্বোচ্চ তিনজন পর্যন্ত উঠতে পারে। ধানমন্ডি লেকের ৮ নম্বর ব্রীজের নিকটবর্তী ডিঙ্গি রেস্তোরা কর্তৃপক্ষ লেকে বোট চালানোর এই ব্যবস্থা করে থাকে।
দিয়াবাড়ী ও চটবাড়ী এবং আশুলিয়া বেড়িবাঁধের তুরাগ নদে ছই ওলা ছোট নৌকায় ঘুরে বেড়ানোর ব্যবস্থা রয়েছে। এসব নৌকাতে মাঝি থাকে। ঘন্টা প্রতি ভাড়ার হার উভয় পক্ষের আলোচনার ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়ে থাকে। যা ৪০০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে।
বনের পশু নগরে দেখতে চাইলে ঘুরে আসা যায় এই শহরের মিরপুরে অবস্থিত চিড়িয়াখানা থেকে। এখানে বাঘ, সিংঘ, বানর, হাতি, হরিণ, নানা প্রজাতির পাখি, নানা প্রজাতির সাপ, নানা প্রজাতির মাছ,  শিম্পাঞ্জী, ঘোড়া, গাধা, জিরাফ, গন্ডার, কুমির, জলহসি্ত, শিয়াল, সজারু, খরগোছ, ময়ূর, বনমানুষ, টাপির, ঘরিয়াল এবং হায়েনা রয়েছে

আধুনিক সরঞ্জামে সজ্জিত পার্ক
গুলশান ওয়ান্ডারল্যান্ড, সায়েদাবাদ ওয়ান্ডারল্যান্ড, ফ্যান্টাসী কিংডম, ওয়াটার কিংডম, নন্দন পার্ক, ওয়াটার ওয়ার্ল্ড, শাহাবাগ শিশু পার্ক এবং শ্যামলী শিশু পার্ক আধুনিক রাইড দিয়ে সাজানো। এসব পার্কে শিশুদের বিনোদনের ব্যবস্থা করা হলেও বড়রাও রাইডগুলোতে উঠে থাকে।
রাইডগুলোর মধ্যে রয়েছে রোলার কোষ্টার, ট্রেন, প্যাডেল বোট, ম্যাজিক কার্পেট,বাম্পার বোট, বাম্পার কার্ট, ইজিডিজি, হ্যাপি, ক্যাঙ্গারু, শান্তামারিয়া, বইআলি বার্ড, জায়ান্ট ফ্লিউম, ক্যাবল কার, ওয়েব পুল, জিপ স্লাইড, রক ক্লাইমরিং, রিপলিং, মুন রেকার, কাটার পিলার, ওয়াটার কোস্টার, আইসল্যান্ড, ব্যাটারি কার, ম্যাসাজ চেয়ার, প্যারাট্রুপার এবং ব্যালন রাইড।
বেসরকারি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত এইসব পার্ক বা থিম পার্কে নিরাপত্তা ব্যবস্থা যথেষ্ট ভালো থাকায় সকাল ১০ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত নিশ্চিন্তে কাটানো যায়।
বছরের বিশেষ দিনগুলো এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিনে এই পার্কগুলোতে প্রচন্ড ভিড় হয়ে থাকে। এই পার্কগুলোর অভ্যন্তরের কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় মিনি রেস্টুরেন্ট ও দোকান রয়েছে। টয়লেট ব্যবস্থা এবং গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থাও রয়েছে। এই পার্কগুলোতে প্রকৃতির চাইতে আধুনিকতাকেই বেশি প্রাধাণ্য দেওয়া হয়েছে।

খাবার
ভ্রমণে ঘুরতে গেলে একসময় ক্ষুধা অনুভব হয়। কিংবা আড্ডার ফাঁকে প্রয়োজন হয় খাবারের। বেসরকারি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত আধুনিক পার্কগুলোর অভ্যন্তরে বার্গার, সান্ডউইচ, হটডগ, চাউমিন, কেক, পেটিস, কোমল পানীয়, নরমাল ওয়াটার, জুস এবং চিপস পাওয়া যায়। এছাড়াও ভারী খাবারের মধ্যে চিকেন বিরিয়ানী, কাচ্চি বিরিয়ানী, কাবাব, চিকেন ফ্রাই, ফ্রাইড রাইস, তেহারী পাওয়া যায়। এই রেস্তোরায় উন্মুক্ত পরিবেশে টেবিলে বসে খাবার খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। আবার চাইলে প্যাকেট করে এই পার্কেরই কোন গাছের ছাঁয়া বা বেঞ্চে বসেও খাবার গ্রহণ করার ব্যবস্থা রয়েছে।
এইসব পার্কে প্রবেশ করার সময় বাইর থেকে খাবার সঙ্গে নিয়ে আসা যায় না। তারপরও আনলে তা গেটে রেখে দেওয়া হয়। সরকারী ব্যবস্থাপনায় প্রতিষ্ঠিত পার্কগুলোতে মিনি রেস্টুরেন্ট বা দোকান না থাকলেও, এখানে হকার রয়েছে।
হকারের কাছ থেকে স্বল্প মূল্যে বাদাম, চা, কফি, সিগারেট, চিপস, পানি, কোমল পানীয়, শসা, গাজর, ডাব, আচার, মুড়িভর্তা, চানাচুর ভর্তা, ছোলা, পুরি, বার্গার ও পপকর্ন কেনার ব্যবস্থা রয়েছে।

প্রবেশ পথ এবং টিকেট
যেসব পার্কে টিকেট ছাড়া প্রবেশ করার ব্যবস্থা রয়েছে সেগুলোতে প্রবেশ পথ অসংখ্য।
টিকেটের বিনিময়ে প্রবেশ করা পার্কগুলোতে প্রবেশপথ একটি মাত্র থাকে। এইসব পার্কে টিকেট ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। তবে ৩ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের টিকেটের প্রয়োজন হয় না।
থিম পার্কগুলোতে তিনভাবে টিকেট বিক্রি করা হয়। শুধু প্রবেশের জন্য, প্রবেশ সহ সকল রাইড এবং প্রবেশসহ কয়েকটি ভালোমানের রাইড। টিকেটগুলো প্রবেশ পথের মুখের কাউন্টারে পাওয়া যায়। এছাড়া কেউ যদি শুধু প্রবেশের টিকেট নিয়ে প্রবেশ করে, তারপরও বিভিন্ন রাইডে ওঠার সুযোগ থেকে যায় দর্শণার্থীদের। তবে এর জন্য কোন দর্শণার্থীদের কষ্ট করে গেইট পর্যন্ত যাওয়ার দরকার হয় না।
সকল রাইডের টিকেট কাউন্টার এসব রাইডের নিকবর্তী অবস্থানে থাকে। এখান থেকে টিকেট সংগ্রহ করে রাইডের উঠা যায়। রাইডগুলোতে উঠতে অবশ্যই লাইনে দাড়াতে হয়। বেশী ভিড় থাকলে রাইডগুলোতে উঠতে কিছুটা সময় লাগে।

একই সঙ্গে ঘোরা ও অনুষ্ঠান উপভোগ
নগরীর ভিতর বা বাইরের পার্কগুলোতে বছরের বিশেষ দিনগুলোতে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকে। রমনা পার্কের ঐতিহাসিক  বটমূলে নতুন বাংলা বর্ষবরণ, বর্ষা বরণ, বসন্ত বরণ অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। ধানমন্ডি লেকের ৮ নম্বর ব্রীজ সংলগ্ন রবীন্দ্রসরোবরে ইংরেজি নববর্ষ, শহীদ দিবস, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, বাংলা বর্ষ বরণ, ঈদ ও পূজাঁ ছাড়াও বছরব্যাপী কোন না কোন দিবসে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এছাড়া গুলশান ওয়ান্ডারল্যান্ড, ফ্যান্টাসী কিংডম এবং নন্দন পার্কে ইংরেজী নববর্ষ, শহীদ দিবস, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, বাংলা বর্ষ বরণ, ঈদ ও পূজাঁ উপলক্ষ্যে কনসার্টের আয়োজন করা হয়।
দিবস ছাড়াও কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে অর্থ দান করার জন্যও এসব থিম পার্কে কনসার্টের আয়োজন করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান জনসচেতনতামূলক অনুষ্ঠান, সম্বর্ধনা এবং আনন্দ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকে।

পার্কিং ব্যবস্থা
সরকারি কিংবা বেসরকারি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত সকল পার্কেই গাড়ি পার্কিং এর পর্যাপ্ত জায়গা রয়েছে। সরকারি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত পার্কে গাড়ি পার্কিং এ আলাদা কোন টাকা প্রদান করতে হয় না। তবে অবশ্যই গাড়িতে চালক বা নিজস্ব একজন লোক থাকা জরুরি। তাছাড়া প্রিয় গাড়িটি খোয়া যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। বেসরকারি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত পার্কগুলোতে গাড়ি পার্ক করতে চার্জ প্রদান করতে হয়। এসব জায়গা গাড়ি প্রতি চার্জ প্রদান করতে হয়। এখান থেকে গাড়ি হারানোর আশঙ্কা একবারে শূন্যের কোঠায় থাকে।

পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা
বেসরকারী উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত পার্কগুলোতে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য সার্বক্ষণিক কর্মী নিয়োজিত থাকে। নির্দষ্টি দূরত্ব অন্তর ডাস্ট বক্স এবং তা ব্যবহার করার ফেস্টুন দেওয়া থাকে। পরিত্যাক্ত প্যাকেট, ব্যবহৃত বোতল, খাবারের খোসা এবং উচ্ছষ্টিাংশ এসব ডাস্ট বক্সে ফেলা যায়। কোন কারণে দর্শণার্থী ডাস্ট বক্সের বাইরে ময়লা ফেললেও পরিচ্ছন্ন কর্মীরা তা সংগ্রহ করে ডাস্ট বক্সে ফেলে দেয়। সরকারী ব্যবস্থাপনায় প্রতিষ্ঠিত পার্কগুলোতে পরিচ্ছন্ন কর্মী বাহিনী থাকলেও  তাঁরা শুধু মাত্র ভোর বেলা পার্কগুলো পরিষ্কার করা হয়। এই জন্য দিনের বাকী সময় পার্কগুলোর প্রায় সকল জায়গতে পরিত্যাক্ত প্যাকেট, ব্যবহৃত বোতল, খাবারের খোসা পড়ে থাকে। এই ময়লাগুলো শুধু মাটিতেই নয়। পাকর্ের লেক এমনকি সেৌন্দর্য বর্ধণে ব্যবহৃত বদ্ধ জলাশয়েও পড়ে।

Comments

comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*