চুলের অনেক সমস্যার একটি উকুন। নিজের অজ্ঞাতে উকুন চুলের গোড়ায় বাসা বাঁধে। চুল থেকে উকুন দূর করবেন?
কেন উকুন হয়
অপরিচ্ছন্নতাই উকুনের মূল কারণ। চুল ঠিকমতো পরিষ্কার না করলে, ভেজা চুল বাঁধার অভ্যাস থাকলেও উকুন হওয়ার আশঙ্কা থাকে। অনেকে তাড়াহুড়ো করে অফিসে যাওয়ার সময় অথবা বাচ্চারা স্কুলের তাড়াহুড়োতে ভেজা অবস্থায় চুল বেঁধে ফেলে। ফলে চুলে সারা দিনই ভেজা ভাব থাকে। এ কারণেই উকুন হতে পারে। অন্যের মাথা থেকে উকুন চলে আসতে পারে। আর একজনের ব্যবহৃত ব্রাশ, চিরুনি, তোয়ালে ব্যবহার করলেও উকুন ছড়ায়। যাঁরা চুল ঠিকমতো পরিষ্কার করেন না, ভালো করে চুল শুকান না, তাঁদের একবার উকুন হলে দূর করা কঠিন।
কী করবেন
অল্প থাকতেই প্রতিকার করতে হবে। মাথা-ঘাড় চুলকালে বা র্যাশ বের হলে সরু দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল ভালো করে আঁচড়ান। উকুন অল্প থাকলে বের হয়ে যাবে। এ ছাড়া বাজারে উকুনের খুব ভালো ওষুধ পারমিথ্রিন, গামাবেনজিন, হেক্সাক্লোরাইড ইত্যাদি পাওয়া যায়। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী মাথায় তেলের মতো করে এগুলো লাগাতে পারেন। লাগানোর এক ঘণ্টা পর ভালোভাবে শ্যাম্পু করে ফেলুন। এভাবে পর পর তিন দিন একই নিয়মে ওষুধ লাগিয়ে শ্যাম্পু করুন। এরপর কন্ডিশনার ব্যবহার করতে ভুলবেন না। না হলে চুল রুক্ষ হয়ে যাবে।
ঘরোয়া পরিচর্যা
* ধুতরা পাতার রস ২ চামচ, পানের রস ২ চামচ, কর্পূর ১ চামচ একত্রে মিশিয়ে নিন। এরপর শ্যাম্পু করা চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করে লাগান। এক ঘণ্টা অপেক্ষা করে শ্যাম্পু করে ফেলুন। পর পর ৩ থেকে ৪ দিন ব্যবহার করলে উকুন চলে যাবে।
* শ্যাম্পুর বোতলে ১০ থেকে ১৫ ফোঁটা টি-ট্রি অয়েল (চা পাতার তেল) মিশিয়ে নিয়ে রেখে দিন। যখনই শ্যাম্পু করবেন ওই শ্যাম্পু ঝাঁকিয়ে নিয়ে ব্যবহার করুন।
* লিক বা ছোট উকুন মারার ক্ষেত্রে ভিনেগার খুব ভালো কাজ করবে। ৩-৪ দিন ব্যবহার করলে লিক মরে যাবে। এরপর ভালো করে চুল ব্লো ড্রাই করে করুন।
* ন্যাপথলিন গুঁড়ো করে নারিকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে মাথায় লাগান। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে চুল শ্যাম্পু করে ফেলুন।
শিশুদের জন্য
লিস্টারিন মাউথওয়াশ তেলের মতো করে শিশুর চুলে লাগিয়ে দিন, উকুন চলে যাবে।
যা করবেন না
* ভেজা চুল কখনোই বাঁধবেন না, যতই তাড়াহুড়ো থাকুক।
* অন্যের ব্যবহার করা চিরুনি, সাবান ও তোয়ালে ব্যবহার করবেন না।