লম্বা আর কোঁকড়ানো চুলের জন্য প্রয়োজন বাড়তি যত্ন। চুল পড়া, রুক্ষ হওয়া, খুশকি এ ধরনের চুলে বেশি হয়।
খুশকি
চুলের অনেক সমস্যার মধ্যে বড় সমস্যা খুশকি। ধুলাবালির কারণে মাথার স্ক্যাল্পে খুশকি বেড়ে যায়। ক্ষেত্রবিশেষে মেডিকেটেড শ্যাম্পু, স্টেরয়েড লোশন ব্যবহারে খুশকি সম্পূর্ণ চলে যায়। তবে খুশকি নিরাময়ের ঘরোয়া উপায়ে যত্ন নিতে পারেন।
হট অয়েল ম্যাসাজ
হট অয়েল ম্যাসাজ খুশকি নিরাময়ে বিশেষ উপকারী। এ ছাড়া লেবুর রস গরম করে মাথায় ম্যাসাজ করুন। এরপর তোয়ালে গরম পানিতে ধুয়ে নিংড়ে মাথায় পেঁচিয়ে রাখুন আধঘণ্টা। এরপর শ্যাম্পু করে কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।
প্রতিদিন চুল ওয়াশ
প্রতিদিন চুলে শ্যাম্পু করলে খুশকি কমবে। কন্ডিশনারও ব্যবহার করতে পারেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে, যাতে চুল ভালোভাবে পানি দিয়ে ধোয়া হয়। নিজের চিরুনি, ব্রাশ, তোয়ালে, বালিশের কভার যথাসাধ্য পরিষ্কার রাখুন।
ড্রাই চুল
লম্বা ও কোঁকড়ানো চুল অতিরিক্ত শুষ্ক হলে লাল হয়, ফেটে যায়, ভেঙে যায়। শুষ্ক চুলে শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। শ্যাম্পুর পর অবশ্যই কন্ডিশনার ব্যবহার করবেন। সপ্তাহে এক দিন পার্লারে হট অয়েল থেরাপি নেবেন।
অলিভ অয়েল থেরাপি
প্রথমে অলিভ অয়েল গরম করে চুল ভালোভাবে ম্যাসাজ করে লাগান। এরপর হালকা ম্যাসাজ করুন। দুটি মোটা তোয়ালে পর্যায়ক্রমে গরম পানিতে ভিজিয়ে পাগড়ির মতো মাথায় পেঁচিয়ে তেলসহ চুলে ভাপ নিন, যেন সব চুলের গোড়ায় তেল পৌঁছে। পরে শ্যাম্পু করুন।
চুল ফাটা
চুলের ডগা ফাটা বা অনেকখানি ওপরে ফেটে আছে, তাদের প্রতি মাসে চুলের আগা ট্রিম করতে হবে। বিশেষ করে ফাটা অনেক ওপরে উঠে এলে এই আগা ফাটা চুলগুলো পার্লারে গিয়ে ছেঁটে নিন। এ ছাড়া চুলে হেয়ার প্যাক লাগাতে পারেন।
হেয়ার প্যাক
সপ্তাহে দুদিন মধু ও মেয়োনিজ সমপরিমাণে নিয়ে চুলে লাগান। ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করুন।
চুল পড়া
চুল পড়ার অনেক কারণ থাকে। যেমন_অসুস্থতা, খুশকি,শুস্ক চুল, হরমোনের সমস্যা ইত্যাদি। এসব সমস্যা অনুযায়ী যত্ন নিন। ভিটামিনের অভাব থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ভিটামিন খান।
হেয়ার প্যাক
সেই সঙ্গে নিয়মিত সমপরিমাণ ছোট পেঁয়াজ বাটা, কেশুতি পাতা বাটা ও আমলকী বাটা একসঙ্গে মিশিয়ে চুলে লাগান। ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করবেন।