ইনফোপিডিয়া ডেস্ক :::
বিদ্যুতের দাম গড়ে ৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ বাড়িয়েছে সরকার, যা চলতি মাস থেকেই কার্যকর হবে। গত সপ্তাহে গণশুনানির পর বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) বৃহস্পতিবার দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। তবে আবাসিকে ৫০ ইউনিট পর্যন্ত এবং সেচে ব্যবহৃত বিদ্যুতের দাম বাড়ছে না বলে জানিয়েছেন বিইআরসি চেয়ারম্যান এ আর খান।
আবাসিক গ্রাহক পর্যায়ে মোট ছয় ধাপে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে ৭৫ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুতের দাম ৬ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ, ৭৬ থেকে ২০০ ইউনিটের দাম ৫ দশমিক ৯২ শতাংশ, ২০১ থেকে ৩০০ ইউনিটের দাম ৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ, ৩০১ থেকে ৪০০ ইউনিটের দাম ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ, ৪০১ থেকে ৬০০ ইউনিটের দাম ৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ এবং ৬০১ ইউনিটের বেশি বিদ্যুতের দাম ৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
বিইআরসির হিসাব অনুযায়ী, প্রথম ধাপের বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীদের খরচ বাড়বে ১৫ টাকা, দ্বিতীয় ধাপে বাড়বে ২২ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত, তৃতীয় ধাপে ৫৯ টাকা থেকে ৮৬ টাকা, চতুর্থ ধাপে ৯৮ টাকা থেকে ১৩৫ টাকা, পঞ্চম ধাপে ১৪৮ থেকে ২৪১ টাকা এবং সর্বশেষ ধাপের খরচ ২৫৫ থেকে ৪৬১ টাকা বাড়বে।
এছাড়া বাণিজ্যিক ও অফিসের বিদ্যুৎ ব্যবহারে ফ্লাট রেট ৯ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯ টাকা ৫৮ পয়সা, অফ-পিক আওয়ারে ৭ টাকা ২২ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৮ টাকা ১৬ পয়সা বাড়ানো হয়েছে। তবে পিক আওয়ারের বিদ্যুতের দাম ১১ দশমিক ৮৫ টাকায় অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
ক্ষুদ্র শিল্পের জন্য ফ্লাট রেটের বিদ্যুতের দাম ৬ টাকা ৯৫ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৭ টাকা ৪২ পয়সা, অফ পিক আওয়ারে ৫ দশমিক ৯৬ থেকে বাড়িয়ে ৬ টাকা ৬৪ পয়সা এবং আওয়ারে ৮ দশমিক ৪৭ থেকে বাড়িয়ে ৯ টাকা করা হয়েছে।
রাস্তার বাতি ও পানির পাম্পের জন্য ফ্লাট রেট ৬ টাকা ৪৮ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৬টাকা ৯৩ পয়সা করা হয়েছে।
এছাড়া উচ্চ চাপের সাধারণ ব্যবহারের (৩৩ কেভি) জন্য ফ্লাট রেট ৬ টাকা ৪৮ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৭ টাকা ২০ পয়সা, অতি উচ্চ চাপের সাধারণ ব্যবহারকারীর জন্য (১৩৩ কেভি) ৬ টাকা ১৬ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৬ টাকা ৯৬ পয়সা করা হয়েছে।
