রপ্তানিকারকদের জন্য তহবিলের পরিমাণ বাড়ানোর পাশাপাশি ঋণ নেয়ার সীমাও বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের (ইডিএফ) পরিমাণ ৩০ কোটি ডলার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫০ কোটি ডলারে। আর এখন থেকে এককভাবে এই তহবিল থেকে সর্বোচ্চ দেড় কোটি ডলার ঋণ নেয়া যাবে। রপ্তানিকারকের উৎসাহ এবং বিনিয়োগের অর্থ জোগান দিতে ২০০৫ সালে ১০ কোটি ডলার নিয়ে ইডিএফের যাত্রা শুরু হয়। গত বছরের শেষ দিকে ইডিএফ তহবিল ৬০ কোটি ডলার থেকে বাড়িয়ে ১০০ কোটি ডলার করা হয়। এরপর ৬ এপ্রিল তা আরো বাড়িয়ে ১২০ কোটি ডলার করা হয়। গত রোববার তা আরো ৩০ কোটি ডলার বাড়িয়ে ১৫০ কোটি ডলার করা হল। মঙ্গলবার ইডিএফের একক ঋণসীমা ৩০ লাখ ডলার বাড়ানো হয় বলে জানা গেছে।
চাহিদা বাড়ায় এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেক্স রিজার্ভ অ্যান্ড ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মহাব্যবস্থাপক কাজী ছাইদুর রহমান। তিনি বলেন, “তৈরি পোশাকসহ সব খাতের রপ্তানিকারকদের চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে এ তহবিলের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। সেই সঙ্গে বাড়ানো হয়েছে একক ঋণ গ্রহণের সীমা। এই তহবিল বাড়ানোর ফলে চলতি অর্থবছরের রপ্তানি আয়ে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। আগামী বছরও এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা যাচ্ছে।”
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, বিদায়ী ২০১৩-১৪ অর্থবছরের ১১ মাসে (জুলাই-মে) গত বছরের একই সময়ের চেয়ে রপ্তানি আয় ১৩ শতাংশ বেড়েছে।
চলতি জুন পর্যন্ত এই তহবিলের সুদের হার ব্যাংকগুলোর জন্য লাইবর (লন্ডন ইন্টার ব্যাংক অফার রেট)এর সাথে দশমিক ৫০ শতাংশ। আর ব্যাংক তা নিয়ে গ্রাহকদেরকে দেয় লাইবরের সঙ্গে ১ দশমিক ৫০ শতাংশ যোগ করে।
বাংলাদেশের রপ্তানি খাতের যে কোনো উদ্যোক্তা এই তহবিল থেকে ঋণ নিতে পারেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, “এতদিন একজন রপ্তানিকারক ইডিএফ থেকে ১ কোটি ২০ লাখ ডলার ঋণ নিতে পারতেন। এখন ১ কোটি ৫০ লাখ ডলার ঋণ নিতে পারবেন।”
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, রপ্তানিকারকদের পক্ষ থেকে ইডিএফ থেকে প্রতিমাসে ১০০ কোটি ডলারের বেশি ঋণ চাহিদা আসে।