প্রচ্ছদ > অর্থ-বাণিজ্য > ঈদের আগে ১৬ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট
ঈদের আগে ১৬ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট

ঈদের আগে ১৬ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট

ঈদের আগে নতুন নোটের চাহিদা বাড়ে। বাড়ে খুচরো নোটের চাহিদাও। এই চাহিদা মেটাতে ১৬ হাজার কোটি টাকা মুল্যের বিভিন্ন মানের নতুন নোট ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ছাড়া খুচরা টাকার সংকট মেটাতে আরো ৫ হাজার কোটি টাকা মূল্যের বিভিন্ন মানের নোট ছাড়া হবে।

জনসাধারণের কাছে নোটগুলোর সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতে রাজধানীতে বিভিন্ন ব্যাংকের ২০টি শাখায় এবং বিভাগীয় শহরগুলোতে ২৭টি শাখায় বিশেষ কাউন্টার চালু করা হচ্ছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিসসহ ঢাকার বাইরের ৭টি অফিসে ভিআইপি কাউন্টারসহ একাধিক কাউন্টার খোলা হচ্ছে। ৭ জুলাই থেকে এসব ব্যাংকের শাখাগুলো থেকে নতুন নোট সরবরাহের কাজ শুরু হবে।

নির্দিষ্ট এসব ব্যাংকের শাখা গিয়ে লেনদেন সময়ের নতুন নোট সংগ্রহ করা যাবে।  তবে  ২, ৫, ১০ ও ২০ টাকার নোটের এবং ১, ২ ও ৫ টাকার কয়েনের সমন্বয়ে তৈরি একটি লট হিসেবে নোটগুলো সংগ্রহ করতে হবে।

একজন গ্রাহক সাড়ে ৫ হাজার টাকা দিয়ে এই লট সংগ্রহ করতে পারবেন। এই লটে থাকবে ২০ ও ১০ টাকার একটি করে বান্ডিল, ৫ টাকার ৩টি বান্ডিল, ২ টাকার ১টি বান্ডিল এবং ৫, ২ ও ১ টাকার ১০০টি করে কয়েন।

রাজধানীতে যেসব শাখায় এই নতুন নোট বিতরণের জন্য বিশেষ কাউন্টার খোলা হচ্ছে সেগুলো হলো-পূবালী ব্যাংকের সদরঘাট শাখা, ন্যাশনাল ব্যাংকের যাত্রাবাড়ী শাখা, জনতা ব্যাংকের নিউমার্কেট শাখা, অগ্রণী ব্যাংকের এলিফ্যান্টরোড শাখা, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের বনানী শাখা, প্রাইম ব্যাংকের মালিবাগ শাখা, সাউথইস্ট ব্যাংকের কারওয়ান বাজার শাখা, স্যোশাল ইসলামী ব্যাংকের বসুন্ধরা সিটি মার্কেট শাখা, উত্তরা ব্যাংকের চকবাজার শাখা, সোনালী ব্যাংকের রমনা শাখা, ওয়ান ব্যাংকের বাসাবো শাখা, প্রাইম ব্যাংকের মিরপুর শাখা, আইএফআইসি ব্যাংকের গুলশান শাখা, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড এগ্রিকালচার ইউনিট দক্ষিণখান শাখা, ব্যাংক এশিয়ার ধানমন্ডি শাখা, ইসলামী ব্যাংকের শ্যামলী শাখা, ঢাকা ব্যাংকের উত্তরা শাখা, ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের মোহাম্মাদপুর শাখা, রূপালী ব্যাংকের মহাখালী শাখা এবং জনতা ব্যাংকের আব্দুল গণি রোড কর্পোরেট শাখা।

এছাড়া চট্টগ্রাম, খুলনা ও সিলেটে বিভিন্ন ব্যাংকের ৫টি করে শাখায় এবং রংপুর, বগুড়া, রাজশাহী ও বরিশালে ৩টি করে শাখায় একই ব্যবস্থায় নতুন নোট সরবরাহ করা হবে। এসব শাখা থেকে বিশেষ ব্যবস্থায় নতুন নোট দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি ব্যবসায়ীরা খুচরা নোট চাইলে এসব শাখাসহ যেকোন ব্যাংক শাখা থেকে নিতে পারবেন।

Comments

comments

Comments are closed.