কারখানার কর্মপরিবেশ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহজ শর্তে স্বল্পসুদে ঋণ পাবেন বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকেরা। নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও পরিবেশবান্ধব অর্থায়নযোগ্য খাতের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের পুনঃ অর্থায়ন কর্মসূচি বা স্কিমের আওতায় এই ঋণ দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, এই কর্মসূচির আওতায় সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ সুদে একটি কারখানাকে সর্বোচ্চ এক কোটি টাকা ঋণসুবিধা দেওয়া হবে। ত্রৈমাসিক কিস্তিতে পাঁচ বছরে সুদাসলে এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে। বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে এই ঋণ বিতরণ করা হবে।
তৈরি পোশাক কারখানা ছাড়াও পুনঃ অর্থায়ন কর্মসূচির আওতায় পরিবেশবান্ধব সবুজ শিল্প বা গ্রিন ইন্ডাস্ট্রি স্থাপন ও সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার করে ভূমির উপরিভাগের পানি সংগ্রহ, পরিশোধন ও সরবরাহ প্রকল্পেও স্বল্পসুদে ঋণ-সহায়তা দেওয়া হবে।
নতুন করে উল্লিখিত তিনটি প্রকল্পকে পরিবেশবান্ধব অর্থায়ন কর্মসূচির আওতাভুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে নয়টি খাতের মোট ৪৭টি প্রকল্প বা পণ্যকে এই কর্মসূচির আওতাভুক্ত করা হলো। এত দিন ৪৪টি প্রকল্প স্বল্পসুদে ঋণসুবিধা পেত। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে: পৌর বর্জ্য থেকে থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন, পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পরিশোধন, ব্যবহৃত কাগজ পুনঃপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে নতুন কাগজ তৈরি, প্লাস্টিক-জাতীয় দ্রব্য পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ প্রকল্প ইত্যাদি।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, বস্ত্র ও তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের তিনটি সংগঠন যথাক্রমে বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও বিটিএমএর সদস্যভুক্ত যেকোনো প্রতিষ্ঠান কারখানার পরিবেশ উন্নয়ন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ এক কোটি টাকা ঋণসুবিধা পাবে। বাংলাদেশ ব্যাংক ৫ শতাংশ সুদে ব্যাংকগুলোকে এই অর্থ জোগান দেবে। ব্যাংকগুলো আরও ৪ শতাংশ সুদ যোগ করে মোট ৯ শতাংশ সুদে ঋণ দেবে।
এই ঋণের টাকা অগ্নিনির্বাপক ও অগ্নি প্রতিরক্ষামূলক সামগ্রী ক্রয়, কারখানার ছাদ এবং ভূগর্ভে প্রয়োজনীয় পাম্প স্থাপনসহ পানি সংরক্ষণাগার তৈরির কাজে ব্যবহার করা যাবে। এ ছাড়া নিরাপদ কর্মপরিবেশ-সংক্রান্ত বিদ্যমান আইন ও বিধিমালা অনুসরণে যেসব ব্যয় হবে সেসব ব্যয়ও পুনঃ অর্থায়ন সুবিধার আওতাভুক্ত হবে। ঋণ গ্রহণের তারিখ থেকে প্রথম নয় মাস ঋণের বিপরীতে কোনো কিস্তি পরিশোধ করতে হবে না।
