প্রচ্ছদ > অর্থ-বাণিজ্য > আয়কর, ইনকাম ট্যাক্স কার্ড, ইটিআইএন, রিটার্ন দাখিলের এ-টু-জেড
আয়কর, ইনকাম ট্যাক্স কার্ড, ইটিআইএন, রিটার্ন দাখিলের এ-টু-জেড

আয়কর, ইনকাম ট্যাক্স কার্ড, ইটিআইএন, রিটার্ন দাখিলের এ-টু-জেড

আড়াই লাখ টাকা আয় হলে রিটার্ন জমা
চলতি করবর্ষে দুই লাখ ৫০ হাজার টাকার বেশি করযোগ্য আয় থাকলে রিটার্ন জমার পাশাপাশি রাজস্ব পরিশোধ বাধ্যতামূলক। রিটার্ন জমা না দিলে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে নিয়মিত আয়করের সঙ্গে জরিমানা পরিশোধ করতে হয়। এ ছাড়া জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত বিশেষ কমিটির সুপারিশে সংশ্লিষ্ট করদাতার বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে মামলাও করা হতে পারে। এ মামলায় সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে জেল-জরিমানার বিধান আছে। রিটার্নে ৫০ লাখ টাকার বেশি তথ্য গোপন করা হলে এনবিআর প্রয়োজন মনে করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সম্পদ জব্দ করতে পারবেন।

চলতি করবর্ষে নির্ধারিত আয়ের পাশাপাশি অন্য কোনো উত্স থেকে আয় থাকলে সেই বাড়তি আয়ের তথ্য আলাদা ফরমে উল্লেখ করে মূল রিটার্নের সঙ্গে জমা দিতে হবে। ফরমে ব্যক্তিগত তথ্য, আয়ের উত্স ও করের পরিমাণ এই ধাপে তথ্য সরবরাহ করতে হবে। করদাতার আয় ২০ লাখ টাকার বেশি হলে আয়কর রিটার্নের সঙ্গে আলাদা সম্পদ বিবরণীর ফরম জমা দিতে হবে। এ ছাড়া নির্ধারিত আয়ের (মূল) পাশাপাশি অন্য কোনো উত্স থেকে যেমন বাড়ি, ফ্ল্যাট, জমি, ব্যবসা বা অন্য কোনো উত্স থেকে আয় থাকলে সেই বাড়তি আয়ের তথ্য আলাদা ফরমে উল্লেখ করে করদাতাকে মূল রিটার্নের সঙ্গে জমা দিতে হবে।

আয়কর আইন অনুযায়ী একজন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে প্রতি করবর্ষে আয়-ব্যয় ও সম্পদের সব তথ্য আয়কর রিটার্নের নির্ধারিত ফরমে উল্লেখ করতে হবে। এনবিআরের সব আয়কর অফিসে আয়কর রিটার্ন ফরম পাওয়া যাবে। এ ছাড়া এনবিআর ওয়েবসাইট থেকেও আয়কর রিটার্ন ফরম ডাউনলোড করা যাবে। রিটার্নের ফটোকপিও গ্রহণযোগ্য।

এ বছর নিয়মিত রিটার্ন দাখিলের সময় শেষ হবে ৩০ নভেম্বর। তবে যুক্তিসংগত কারণ দেখিয়ে এ সময়ের পরেও করদাতা রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট উপকর কমিশনারের অনুমতি নিয়ে পরবর্তীতে রিটার্ন জমা দেওয়ার সুযোগ আছে। প্রত্যেক শ্রেণির করদাতার রিটার্ন দাখিলের জন্য আয়কর সার্কেল নির্দিষ্ট করা আছে। আয়কর মেলায়ও করদাতাদের রিটার্ন দাখিলের সুযোগ রয়েছে।

কারা রিটার্ন দাখিল করবেন
বর্তমান আয়কর আইনে বাড়িভাড়া, যাতায়াত ভাতা ও চিকিত্সা ভাতা বাদ দিয়ে বার্ষিক আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করমুক্ত। এর বেশি হলে কর দিতে হবে। এর পাশাপাশি নারী ও ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সের করদাতার আয় তিন লাখ টাকার বেশি, প্রতিবন্ধীদের চার লাখ টাকার বেশি, যুদ্ধাহত গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা করদাতাদের আয় চার লাখ ২৫ হাজার টাকার বেশি হলে রিটার্ন দাখিলের পাশাপাশি কর পরিশোধ করতে হবে। এর বেশি আয়ে প্রযোজ্য হারে কর দিতে হয়। চলতি আয়বর্ষের আগের তিন বছরে করদাতার করযোগ্য আয় থাকলেও তাঁকে রিটার্ন দাখিল করতে হবে।

কোনো কম্পানির শেয়ারহোল্ডার পরিচালক বা শেয়ারহোল্ডার চাকরিজীবী ও কোনো ফার্মের অংশীদার হলে রিটার্ন দাখিল করতে হবে। সরকারি করপোরেশন, সত্তা বা ইউনিটের কর্মচারী হয়ে আয় বছরের যেকোনো সময়ে ১৬ হাজার টাকা বা তার বেশি মূল বেতন পেলে, ব্যবসায়ে বা পেশায় নির্বাহী বা ব্যবস্থাপনা পদে বেতনভোগী কর্মী হলে, বছরে করদাতার আয়কর অব্যাহতিপ্রাপ্ত বা হ্রাসকৃত হারে করযোগ্য হলেও আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে।

মোটরগাড়ির মালিক হলে, ভ্যাট নিবন্ধিত কোনো ক্লাবের সদস্য, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণ করে কোনো ব্যবসা বা পেশা পরিচালন করলে, কোনো কম্পানির বা গ্রুপ অব কম্পানির পরিচালনা পরিষদে থাকলে বাধ্যতামূলক করদাতাকে আয়কর রিটার্ন জমা দিতে হবে।

চিকিত্সক, আইনজীবী, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্ট, প্রকৌশলী, স্থপতি অথবা সার্ভেয়ার বা সমজাতীয় পেশাজীবী হিসেবে নিবন্ধিত হলে আয়কর রিটার্ন জমা দিতে হবে। কোনো বণিক, শিল্পবিষয়ক চেম্বার, ব্যাবসায়িক সংঘ বা সংস্থার সদস্য হলে, কোনো সিটি করপোরেশন বা পৌরসভার কোনো পদে বা সংসদ সদস্য হিসেবে প্রার্থী হলে, সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা বা স্থানীয় সরকারের কোনো টেন্ডারে অংশ নিলে চলতি আয় বছরে আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক। করদাতা বেতনপ্রাপ্ত হলে আয়কর বিবরণীর সঙ্গে বেতন বিবরণী জমা দিতে হবে। ব্যাংক হিসাব থাকলে বা ব্যাংক সুদ থেকে আয় থাকলে ব্যাংক বিবরণী বা ব্যাংক সার্টিফিকেট দিতে হবে।

কোনো করদাতা বিনিয়োগ ভাতা দাবি করলে এবং জীবন বীমা পলিসি গ্রহণ করলে তাঁর সপক্ষে আয়কর রিটার্নের সঙ্গে প্রিমিয়াম পরিশোধের প্রমাণ দিতে হবে। বন্ড বা ডিবেঞ্চার থাকলে তা কেনার প্রমাণ হিসাবে এসবের ফটোকপি দিতে হবে। সুদ আয় থাকলে সুদ প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের প্রত্যয়নপত্র এবং প্রাতিষ্ঠানিক ঋণ নিয়ে বন্ড বা ডিভেঞ্চার কেনা হলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সার্টিফিকেট, ব্যাংক বিবরণী বা প্রাতিষ্ঠানিক প্রত্যয়নপত্র আয়কর রিটার্নের সঙ্গে জমা দিতে হবে।

বাড়িভাড়া থেকে আয় থাকলে ভাড়ার চুক্তিনামা বা ভাড়ার রসিদের কপি, ভাড়া পাওয়ার বিবরণ এবং প্রাপ্ত বাড়িভাড়া জমাসংশ্লিষ্ট ব্যাংক হিসাব বিবরণী রিটার্নের সঙ্গে জমা দিতে হবে।

ঘরে বসেই রিটার্ন দাখিল
করদাতারা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন। অনলাইনে দাখিলের পর রিটার্ন পরিশোধের সনদ অনলাইনেই আসবে। রিটার্ন দাখিলসংক্রান্ত কোনো প্রশ্ন থাকলে অফিস চলাকালীন (০২) ৫৫৬৬৭০৭০ নম্বরে ফোন করে করদাতা জেনে নিতে পারবেন। অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের জন্য সংশ্লিষ্ট কর অঞ্চল থেকে করদাতাকে নিজস্ব ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড সংগ্রহ করতে হবে। এ ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে প্রত্যেক করবর্ষে রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন। অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের ঠিকানা www.etaxnbr.gov.bd

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে পরিশোধ করা যাবে আয়কর
করদাতাদের দ্রুত আয়কর পরিশোধের সুবিধার্থে এবারের মেলায় নগদ ও বিকাশের মতো মোবাইল ব্যাংকিং সেবা রাখা হচ্ছে। আয়কর মেলা কমিটির সমন্বয়ক ও এনবিআর সদস্য কালিপদ হালদার বলেন, এবার আয়কর মেলার ওপর আমরা একটা ওয়েবসাইট তৈরি করেছি। আয়কর রিটার্নটি ওখানে পাবেন, যদি পারেন তো পূরণ করে আনতে পারেন। অনলাইন পেমেন্টকে অনেক বেশি শক্তিশালী করছি, বিভিন্ন অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে যেমন : রকেট, বিকাশ ইত্যাদির মাধ্যমে আয়কর পরিশোধ করতে পারবেন। এ ছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও মেলায় থাকছে ওয়ান স্টপ সার্ভিস। এ ছাড়া করদাতারা ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে অনলাইনে আয়কর জমা দিতে পারবেন।

মেলার সব তথ্য ওয়েবসাইটে
করদাতারা যেন কারো সাহায্য ছাড়াই নিজেরাই ঘরে বসে রিটার্ন ফরম পূরণ করতে পারেন এ জন্য যাবতীয় নির্দেশনাসহ ওয়েবসাইট চালু করেছে এনবিআর। আয়কর মেলা ২০১৯ লোগোসংবলিত এ ওয়েবসাইটে আয়কর মেলায় কী কী সেবা পাওয়া যাবে তার তথ্য রয়েছে। ওয়েবসাইটের হোমপেজে রয়েছে—রিটার্ন দাখিল, হেল্প ডেস্ক, অনলাইন রিটার্ন দাখিল, ট্রেলার সুবিধাসহ ব্যাংক বুথ, টিআইএন নিবন্ধন—মেলায় দেওয়া এসব সুবিধার যাবতীয় তথ্য। একজন করদাতার প্রয়োজনীয় সব প্রশ্নের উত্তরও মিলবে এখানে। রয়েছে রিটার্ন দাখিলের বিভিন্ন ফরম। এনবিআরের কার্যক্রম নিয়ে ফিডব্যাক ও পরামর্শ পাঠানোর অপশনও রয়েছে করদাতাদের জন্য।
আয়কর রিটার্ন দাখিল : করদাতারা মেলায় আয়কর রিটার্ন জমা ও রিটার্নের প্রাপ্তি স্বীকারপত্র পাবেন।
হেল্প ডেস্ক : করদাতাদের আয়কর রিটার্ন পূরণে সহায়তা করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ হেল্প ডেস্কের ব্যবস্থা থাকছে। যেকোনো প্রয়োজনে হেল্প ডেস্কে দায়িত্বপ্রাপ্তদের সহায়তা নেওয়া যাবে।
ট্রেলার সুবিধাসহ ব্যাংক বুথ : করদাতারা মেলায় স্থাপিত বিভিন্ন ব্যাংক বুথের মাধ্যমে তাঁদের আয়কর জমা দিতে পারবেন।

ইটিআইএন নিলেই রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক
আয়কর আইন অনুযায়ী ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সের সক্ষম প্রত্যেককে ইটিআইএন নিতে হবে। ইটিআইএন থাকলে রিটার্ন দাখিলও বাধ্যতামূলক। তবে করযোগ্য আয় না থাকলে এ ক্ষেত্রে কর পরিশোধের প্রয়োজন হবে না। বর্তমানে অধিকাংশ কার্যক্রমে অংশ নিতে ইটিআইএন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

২০১৩ সালে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) পুরনো ১০ ডিজিটের টিআইএন বাতিল করে ১২ ডিজিটের ইটিআইএন গ্রহণ বাধ্যতামূলক করে। পুরনো টিআইএনধারীকে পুনর্নিবন্ধন এবং নতুন করদাতাকে নিবন্ধন করে এই নম্বর নিতে হয়। এনবিআরের সর্বশেষ হিসাবে গত প্রায় ছয় বছরে (২০১৩-২০১৯) ইটিআইএনধারীর সংখ্যা ৪৫ লাখ ছাড়িয়েছে। গত তিন বছরের প্রতিবছর রিটার্ন জমা দিয়েছে গড়ে ২২ লাখ। এনবিআরের কর্মকর্তারা জানান, চলতি করবর্ষে দেশব্যাপী জরিপ পরিচালনা করে সক্ষম অথচ করজালে নেই এমন ১২ লাখ ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এরই মধ্যে তাদের এনবিআর থেকে ইটিআইএন প্রদান করা হয়েছে।

নতুন ইটিআইএনধারীর অংশগ্রহণে এবারে রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা ৩০ লাখ ছাড়িয়ে যাবে এমন মত জানিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, এনবিআর থেকে করজালের বিস্তারে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, এবারে জমা পড়া রিটার্নের সংখ্যা যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি হবে।

চেয়ারম্যান বলেন, আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার পূর্বশর্ত হচ্ছে ইটিআইএন থাকতে হবে। করদাতারা বছরের যেকোনো সময়ে অনলাইনে ইটিআইএন গ্রহণ করতে পারবেন। ইটিআইএন না থাকলে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বঞ্চিত হবেন।

ইটিআইএন থাকলে কী কী সুবিধা?
ব্যাংক হিসাব খুলতে ও ব্যাংকঋণ পেতে ইটিআইএন প্রয়োজন হবে। পুরনো টিআইএন দিয়ে আগে চালু করা ব্যাংক হিসাবেও ইটিআইএন জমা দিতে হবে। অন্যথায় গ্রাহকের সুদ বা মুনাফার ওপর অতিরিক্ত ৫ শতাংশ কর আদায় করা হবে। পাসপোর্ট করা, বিদেশ ভ্রমণ সম্পর্কিত কাগজপত্র সংগ্রহ, বাড়ি, ফ্ল্যাট বা জমি কেনা, গাড়ি কেনা ও এসংক্রান্ত কাগজপত্র নবায়ন, যেকোনো ব্যবসায়ে লাইসেন্স পাওয়া বা নবায়ন করতে ইটিআইএন প্রয়োজন। বাড়ির গ্যাস বিদ্যুত্সহ বিভিন্ন ইউটিলিটি সংযোগ নিতেও ইটিআইএন লাগে। জাতীয় সংসদ, পৌরসভা, সিটি করপোরেশনসহ রাষ্ট্র পরিচালিত যেকোনো নির্বাচনে অংশ নিতে, হোটেল-রেস্তোরাঁ নির্মাণ, নতুন শিল্প স্থাপন, ঠিকাদারি ব্যবসা করতেও ইটিআইএন প্রয়োজন। এককালীন তিন লাখ টাকার অধিক মূল্যের সোনা, মুক্তা বা মূল্যবান গহনাসহ যেকোনো কেনাকাটায়ও ইটিআইএন দেখানোর নিয়ম রয়েছে। উচ্চ বেতনের চাকরিতে যোগদানে ইটিআইএন জমা দেওয়ার বিধান রয়েছে। ব্যয়বহুল ইংরেজি মাধ্যমে ছাত্রছাত্রী পড়াতে ব্যয় বহনকারীকে ইটিআইএন প্রদর্শন করার বিধান রয়েছে। এভাবে প্রায় সব ক্ষেত্রেই ইটিআইএন ব্যবহার বাধ্যতামূলক করছে এনবিআর।

এনবিআর সদস্য (জরিপ ও পরিদর্শন) মো. মেফতাহ উদ্দিন খান কালের কণ্ঠকে বলেন, করজালে নেই কিন্তু কর প্রদানে সক্ষম এমন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করতে এনবিআর কাজ করছে। এরই মধ্যে অনেককে চিহ্নিত করে ইটিআইএন দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, এ সংখ্যা আগামীতে এক কোটি ছাড়িয়ে যাবে।

কিভাবে নেবেন ইটিআইএন?
ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান কর অঞ্চলে নিজে উপস্থিত হয়ে এনবিআরের ওয়েবসাইট থেকে রাজস্ব কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ইটিআইএন গ্রহণ করতে পারেন। আবার করদাতা নিজেই ঘরে বসে কম্পিউটারের সাহায্যে অনলাইন থেকে ইটিআইএন নিতে পারেন। ইটিআইএন নিবন্ধন ও পুনর্নিবন্ধন করতে হলে শুরুতে অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। অ্যাকাউন্ট তৈরির নিয়ম জানতে www.incometax.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। হোমপেজের রেজিস্টার বাটনে ক্লিক করলে ফরম আসবে। ফরম পাওয়ার পর ব্যবহারকারীর মুঠোফোন নম্বরে তাত্ক্ষণিকভাবে একটি কোড চলে যাবে। পর্দায় প্রদর্শিত ফরমে নির্ধারিত ঘরে মুঠোফোনে পাওয়া কোডটি দিতে হবে। এরপর বাটনে ক্লিক করলেই কম্পিউটারের পর্দায় লেখা আসবে, ‘স্বাগতম ইটিআইএন নিবন্ধন বা পুনর্নিবন্ধন’। এরপর টিন অ্যাপ্লিকেশন মেন্যুতে ক্লিক করতে হবে। নতুন করদাতারা নিবন্ধন (রেজিস্ট্রেশন) বাটনে এবং পুরনো করদাতারা (যাদের টিন নম্বর আছে) পুনর্নিবন্ধন বাটনে ক্লিক করবে। এরপর (Go to Next) বাটনে ক্লিক করতে হবে। পর্যায়ক্রমে ফরমের বিভিন্ন ছক পূরণ করতে হবে। প্রাপ্তবয়স্ক ও অপ্রাপ্তবয়স্ক বাংলাদেশি নাগরিকের (যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর নেই) নতুন ইটিআইএন নিবন্ধনের ক্ষেত্রে এ পর্যায়ে এসে ডিজিটাল ফরম্যাটে সদ্য তোলা এক কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি আপলোড করতে হবে। সব তথ্য দেওয়া শেষ হলে নিচের চেক বক্সে টিক চিহ্ন দিতে হবে। সাবমিট বাটনে ক্লিক করার পর নতুন ১২ ডিজিটের ইটিআইএন পাওয়া যাবে। তবে প্রাপ্তবয়স্ক ও অপ্রাপ্তবয়স্ক আবেদনকারী (যাদের জাতীয় পরিচিতি নম্বর নেই এবং যিনি পাসপোর্টের মাধ্যমে নিবন্ধন বা পুনর্নিবন্ধন করেছে) তিনি একটি টিকিট পাবেন। এ টিকিট প্রিন্ট করে সংশ্লিষ্ট আয়কর কার্যালয়ে যোগাযোগ করে ইটিআইএন সংগ্রহ করে নিতে হবে।

ব্যাংক আমানত ও সঞ্চয়পত্রে কর রেমিট্যান্স ও পেনশনে কর অব্যাহতি
টাকার প্রবৃদ্ধি চাইলে বিনিয়োগ করতে হবে। বিনিয়োগের বৈধ উৎসগুলোর মধ্যে অন্যতম ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও পুঁজিবাজার। এর পাশাপাশি রয়েছে সরকারের সঞ্চয়পত্র খাত। যেখানে ঝুঁকি কম ও মুনাফা বেশি পাওয়া যায় সেখানেই মানুষ টাকা রাখতে আগ্রহী হয়। এ বিবেচনায় ব্যাংক ও সঞ্চয়পত্র খাতেই মানুষের আগ্রহ বেশি লক্ষ করা যায়। তবে এ দুই জায়গায়ই বিনিয়োগের ধরন অনুযায়ী বিভিন্ন হারে উৎসে কর ও আবগারি শুল্ক কাটা হচ্ছে। এটা নিয়ে মানুষের মধ্যে অসন্তুষ্টি রয়েছে। তবে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পেনশন আয়কর অব্যাহতি সুবিধা পেয়ে আসছে।

সঞ্চয়পত্রে উৎসে কর
নিম্ন-মধ্যবিত্ত, সীমিত আয়ের মানুষ, মহিলা, প্রতিবন্ধী ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য সঞ্চয়পত্রের বিভিন্ন প্রকল্প চালু রয়েছে। বর্তমানে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করলে ভালো মুনাফা পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু এ মুনাফাও করমুক্ত নয়। চলতি অর্থবছরের বাজেটে সব ধরনের সঞ্চয়পত্রের মুনাফার ওপর উৎসে কর ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছিল। সঞ্চয়পত্রে উৎসে কর বাড়ানোর প্রস্তাব অর্থ আইন-২০১৯ এর দ্য ইনকাম ট্যাক্স অর্ডিন্যান্স ১৯৮৪ এর সেকশন ৫২ (ডি) সংশোধনের মাধ্যমে করা হয়। ওই সেকশনে সঞ্চয়পত্রে ৫ শতাংশ উৎসে কর নেওয়ার বিধান রাখা হয়েছিল। সেটি পরিবর্তন করে ১০ শতাংশ হবে মর্মে সংশোধন করা হয়। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগের মুনাফার ওপর উৎসে কর ৫ শতাংশ করা হয়। আর পাঁচ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে মুনাফার ওপর উৎসে কর ১০ শতাংশই বহাল রাখা হয়েছে। গত ২৮ আগস্ট উৎসে করের হার কমিয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি)।

২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে সঞ্চয়পত্র থেকে সরকারের ঋণের লক্ষ্য ধরা আছে ২৭ হাজার কোটি টাকা। গত অর্থবছরের মূল বাজেটে এ খাত থেকে ২৬ হাজার ১৯৭ কোটি টাকা ঋণের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও সংশোধিত বাজেটে তা বাড়িয়ে করা হয় ৪৫ হাজার কোটি টাকা। অর্থবছর শেষে সঞ্চয়পত্রে ঋণের পরিমাণ গিয়ে দাঁড়ায় ৪৯ হাজার ৯৩৯ কোটি টাকা। মূলত ব্যাংকে আমানতের সুদহার কমে যাওয়া ও শেয়ারবাজারে অস্থিরতার পরিপ্রেক্ষিতে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে থাকে। এতে এ খাতে সরকারের সুদের বোঝাও বাড়তে থাকে। তাই সঞ্চয়পত্রে অতিরিক্ত বিনিয়োগ ঠেকাতে সম্প্রতি বিনিয়োগকারীদের তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলা হয়েছে। আগামী ১ জুলাই থেকে অনলাইনে সঞ্চয়পত্র কেনা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এখন থেকে এক লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র কিনতে হলে জাতীয় পরিচয়পত্রের ই-টিন সনদ জমা দিতে হবে। টাকার পরিমাণ এক লাখের বেশি হলে অবশ্যই ব্যাংকের চেকের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে। এ জন্য সঞ্চয়কারীর ব্যাংক হিসাব নম্বর, মোবাইল নম্বর দিতে হবে। এ ছাড়া নতুন ফরম এবং ‘ম্যান্ডেট’ ফরম সংগ্রহ করে পূরণ করে জমা দিতে হবে। এ ছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সঞ্চয়পত্র কেনা নিরুত্সাহ করতে সঞ্চয়পত্র বিধিমালা ১৯৭৭ যথাযথভাবে ব্যাংকগুলোকে অনুসরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ব্যাংক আমানতে উৎসে কর ও আবগারি শুল্ক
কোনো গ্রাহক বাণিজ্যিক ব্যাংকে মেয়াদি আমানত হিসাবে টাকা জমা রাখলে বছর শেষে গ্রাহককে যে মুনাফা দেওয়া হবে, তার ওপর উৎসে কর কেটে নেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে আমানতের বিপরীতে বছরে একবার আবগারি শুল্কও কাটা হয়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ব্যাংকের কোনো গ্রাহকের কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) থাকলে তাঁর আমানতের মুনাফা থেকে ১০ শতাংশ এবং টিআইএন না থাকলে ১৫ শতাংশ হারে উৎসে কর কেটে রাখা হয়। শুধু উৎসে করই নয়, সঞ্চয়ী গ্রাহকের হিসাব কাটা হয় আবগারি শুল্কও। যেমন : এক লাখ এক টাকা থেকে পাঁচ লাখ টাকার মধ্যে আমানত হলে অ্যাকাউন্টধারীকে ১৫০ টাকা আবগারি শুল্ক দিতে হয়। ৫ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত আমানতের ক্ষেত্রে ৫০০ টাকা, ১০ লাখ থেকে এক কোটি টাকার ক্ষেত্রে দুই হাজার ৫০০ টাকা, এক কোটি থেকে পাঁচ কোটি টাকার ক্ষেত্রে ১২ হাজার টাকা এবং পাঁচ কোটি টাকার ওপর যেকোনো পরিমাণ অর্থে ২৫ হাজার টাকা আবগারি শুল্ক দিতে হয়। তবে শূন্য থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত আমানত স্থিতির গ্রাহকদের এই আবগারি শুল্ক দিতে হবে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, গত জুন পর্যন্ত ব্যাংকের আমানতকারীর সংখ্যা ৯ কোটি ৯৮ লাখ ৩৪ হাজার ৩২৬ জন। তাঁদের আমানতের পরিমাণ ৯ লাখ ১৩ হাজার ৬১২ কোটি ৩৭ লাখ। এর মধ্যে কোটিপতি আমানতকারীর সংখ্যা ৮০ হাজার ৩৯৬ জন।

রেমিট্যান্স ও পেনশনে করমুক্তি সুবিধা
প্রবাসীদের কষ্টার্জিত বৈদেশিক আয়কর অব্যাহতি সুবিধা পেয়ে আসছে। রেমিট্যান্স আয় বৃদ্ধিতেই এ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যে পেনশন সুবিধা পান তাও কর অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪-এর ষষ্ঠ তফসিলে বর্ণিত মোট আয়বহির্ভূত আইটেম যেমন পেনশন আয় ও ফরেন রেমিট্যান্স ইত্যাদি মূল রিটার্নে প্রদর্শন না করে পরবর্তীতে সংশোধিত রিটার্নে প্রদর্শন করা হলেও ওই আইটেমগুলোর ওপর কোনো কর আরোপ করা হবে না বলে উল্লেখ আছে।

বিদেশ ভ্রমণের কর দেবেন কিভাবে
বিদেশ ভ্রমণ করলে দেশ ত্যাগের সময় সরকারকে ভ্রমণ কর দিতে হয়। যাত্রাপথের ওপর নির্ভর করে ভ্রমণ করের পরিমাণ ভিন্ন হয়। আকাশ ও নৌপথে ভ্রমণ কর টিকিটের সঙ্গেই যুক্ত থাকে। ফলে আলাদা করে তা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। স্থলপথে বিদেশ ভ্রমণে এ করের পরিমাণ ৫০০ টাকা। ভ্রমণ কর স্থলবন্দরের ভ্রমণ কর বুথে বা আগে থেকেই সোনালী ব্যাংকের নির্ধারিত শাখায় জমা দিতে হয়। তবে অনেকে ঝামেলা এড়াতে যাত্রা শুরুর আগেই ভ্রমণ কর পরিশোধ করেন। কারণ এতে বর্ডারে ভ্রমণ কর দেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়াতে হবে না।

এখন স্থলপথে ভারতেই বেশির ভাগ যাত্রী যাতায়াত করেন। এর বাইরে নেপাল ও মিয়ানমারে সামান্য কিছু যাত্রী যান। বছরে কতজন স্থলপথে যাতায়াত করেন, সেটির সুনির্দিষ্ট পরিসংখ্যান সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরে নেই। তবে বেনাপোল কাস্টম হাউসের তথ্য অনুযায়ী, ওই স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ হাজার বাংলাদেশি যাত্রী ভারতে যান। তাঁদের বড় অংশ চিকিত্সার জন্য যান। বর্তমানে যেকোনো স্থলপথে ভ্রমণের ক্ষেত্রে প্রত্যেক যাত্রীর কাছ থেকে নির্ধারিত ৫০০ টাকা আদায় করা হয়।

চালানের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকের মতিঝিল, নিউ মার্কেট, সদরঘাট, দিলকুশা, কারওয়ান বাজার ও ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট করপোরেট শাখায় ভ্রমণ কর দেওয়া যায়। ভ্রমণ কর দেওয়ার সময় অবশ্যই সঙ্গে পাসপোর্ট নিতে হবে।

সোনালী ব্যাংক যাত্রীদের বিদেশ ভ্রমণের করের অর্থ পরে সরকারি কোষাগারে জমা দেয়। ভ্রমণ কর আইন-২০০৩ অনুযায়ী, আকাশ, নৌ ও স্থলপথে বিদেশ যাওয়ার সময় যাত্রীদের দেশওয়ারি নির্ধারিত পরিমাণ কর দিতে হয়। তবে ৯৮ শতাংশ ভ্রমণ কর আসে আকাশপথের যাত্রীদের কাছ থেকে। এনবিআর সূত্র জানায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মোট ভ্রমণ কর আহরণ হয়েছে প্রায় এক হাজার ২০০ কোটি টাকা।

কারা ট্যাক্স কার্ড পান
কর প্রদানে উত্সাহিত করতে সরকার সর্বোচ্চ ও দীর্ঘমেয়াদি করদাতাদের বিশেষ সম্মাননা হিসেবে প্রতি করবর্ষে ট্যাক্স কার্ড প্রদান করে থাকে। সম্মাননা হিসেবে ট্যাক্স কার্ডের সঙ্গে একটি ক্রেস্ট এবং সনদ প্রদান করা হয়। সংশোধিত জাতীয় ট্যাক্স কার্ড নীতিমালা ২০১০ অনুসারে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) উদ্যোগে প্রতি করবর্ষে ট্যাক্স কার্ড প্রদান করা হয়। ট্যাক্স কার্ডপ্রাপ্তদের নাম চূড়ান্ত করতে এনবিআরের কর্মকর্তাদের নিয়ে একাধিক কমিটি গঠন করা হয়। নীতিমালা অনুযায়ী এসব কমিটি বিভিন্ন রাজস্ব দপ্তর থেকে সাধারণ করদাতাদের কর প্রদানের তথ্য খতিয়ে দেখে সর্বোচ্চ এবং দীর্ঘমেয়াদি করদাতাদের নামের তালিকা করে। এ তালিকা করে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়। অর্থ মন্ত্রণালয় আবার খতিয়ে দেখে এ তালিকা চূড়ান্ত করে। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে তালিকায় থাকা অনেকের নাম বাদ দেওয়ার আইনি ক্ষমতা থাকে। এখানে অনুমোদনের পর অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে ট্যাক্স কার্ডপ্রাপ্তদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়। ট্যাক্স কার্ড নীতিমালা ২০১০ অনুযায়ী ট্যাক্স কার্ডের মেয়াদ থাকে এক বছর।

ট্যাক্স কার্ডে কী সুবিধা?
নীতিমালা অনুযায়ী, ট্যাক্স কার্ডধারীরা বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাবেন। সড়ক, বিমান, নদীপথে ভ্রমণে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকিট পাবেন। হোটেল-রেস্তোরাঁয় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেবা পাবেন। বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারের সুযোগ পাবেন। ট্যাক্স কার্ডধারী ব্যক্তি ও তাঁর পরিবার চিকিত্সায় হাসপাতালে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শয্যা সুবিধা পাবেন।

ব্যবসায়ী, চিকিত্সক, শিল্পী, খেলোয়াড়, আইনজীবী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশাভিত্তিক ৩৬টি ক্যাটাগরিতে ট্যাক্স কার্ড প্রদান করা হয়। নীতিমালা অনুযায়ী আয়ের উত্স বা পেশা—এই দুই ভাগে ব্যক্তি শ্রেণির ট্যাক্স কার্ড প্রদানে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। কম্পানি পর্যায়ে ১৪টি এবং অন্যান্য পর্যায়ে চারটি ক্যাটাগরিতে ট্যাক্স কার্ড দেওয়া হয়। কম্পানির প্রতিনিধিরা ট্যাক্স কার্ড গ্রহণ করে থাকেন।

.

Comments

comments

Comments are closed.