ডি-অক্সি-রাইবোনিউক্লিক এসিড (ডিএনএ) আইন- ২০১৪ –এর বিল সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে। সোমবার মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন।
বিলটি সংসদে উত্থাপনের পর পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত্র স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। স্থায়ী কমিটি এক মাসের মধ্যে বিলটি সংসদে ফেরত পাঠাবে।
অপরাধী শনাক্ত ও বাবা-মা-ভাইবোন সম্পর্ক নির্ণয় এবং ডিএনএ ডাটাবেইজ তৈরির প্রয়োজনে গত বছর ২৫ নভেম্বর মন্ত্রিসভার বৈঠকে আইনের খসড়াটির চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। বিলে বলা হয়, যদি কোনো ল্যাবরেটরি বা সংস্থা অননুমোদিতভাবে ডিএনএ কার্যক্রম পরিচালনা করে তাহলে ওই কার্যক্রমে জড়িত প্রত্যেক ব্যক্তির ৭ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা ২ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দণ্ডই দিতে পারবেন আদালত।
ডিএনএ নমুনা বা দেহগত পদার্থের নমুনা ধ্বংস, পরিবর্তন, দূষিতকরণ, জালকরণ কলা হলে ৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা ১ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন অভিযুক্ত ব্যক্তি। অনুমোদিত নয় এমন কোন উপায়ে ডিএনএ সম্পর্কিত ডাটাবেইজে প্রবেশ করলে ২ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
অননুমোদিতভাবে ডিএনএ সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ বা প্রকাশ বা ব্যবহার করলে ৩ (তিন) বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন অপরাধী। যদি কোন ব্যক্তি অননুমোদিত বা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ডিএনএ সম্পর্কিত কোন তথ্য সংগ্রহ করেন তাহলে ৩ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। দায়িত্বরত কোন ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে কোন ডিএনএ নমুনা বা এর ফলাফল হস্তান্তর বা প্রকাশ করেন তাহলে ৩ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। নমুনা সংগ্রহে গাফিলতি করলে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক বা তদন্তকারী কর্মকর্তা বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যের ২ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা হবে।
বিলে উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়, ডিএনএ প্রোফাইলের মাধম্যে ধর্ষণ, হত্যা,সহ জঘন্যতম অপরাধের অপরাধী শনাক্ত, পিতৃত্ব, মাতৃত্ব ও ভাইবোনের সম্পর্ক নির্ধারণ বিদেশে অভিবাসী হতে ইচ্ছুকদের প্রয়োজনীয় ডিএনএ পরীক্ষা বা বংশের ধারা প্রদান এবং বিচ্ছিন্ন বিকৃত মরদেহ শনাক্ত করা যায়। এ আইনে মোট ৪১টি ধারা রয়েছে। এতে নমুনা সংগ্রহ বিশ্লেষণ, ল্যাবরেটরি প্রতিষ্ঠা, উপদেষ্ঠা গঠন, কারিগরি কমিটি গঠন এবং ডিএনএ ডাটাবেজ তৈরির কথা বলা হয়েছে।