বাংলাদেশের নাগরিক এবং অন্যান্য ব্যক্তিদের বাংলাদেশ থেকে বহির্গমন ও আনুষঙ্গিক বিষয় নিয়ন্ত্রণ করার জন্য পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়। যেকোনো নাগরিক পাসপোর্ট পেতে চাইলে তাকে নির্দিষ্ট ফর্ম পূরণ করে আবেদন করতে হবে। পাসপোর্ট দেওয়া বা না দেওয়া সরকারে এখতিয়ারাধীন বিষয়। তবে আইনে বর্ণিত শর্ত পালন করলে সব নাগরিকই পাসপোর্ট প্রাপ্তির অধিকার রাখেন।
বাংলাদেশ পাসপোর্ট আদেশ ১৯৭৩-এর ৬ ধারা অনুযায়ী পাসপোর্ট কতৃর্পক্ষ যে সব কারণে কোনো ব্যক্তির পাসপোর্ট বা ভ্রমণ দলিল প্রত্যাখ্যান করতে পারেন :
– যদি আবেদনকারী বাংলাদেশে নাগরিক না হন।
– যদি আবেদনকারী বাংলাদেশ দালাল আদেশ ৭২ এর অধীনে দোষী প্রমাণিত হয়ে থাকেন।
– যদি আবেদনকারী আবেদন করার পূর্বের পাঁচ বছরের মধ্যে যে কোনো সময় বাংলাদেশের যেকোনো আদালত কর্তৃক নৈতিক অসচ্চরিত্রতাজনিত অপরাধের জন্য অন্তত দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়ে থাকেন।
– যে আবেদনকারী মুদ্রা, মাদকদ্রব্য, অস্ত্র চোরাচালান, মহিলা এবং দাসের ব্যবসা, অবৈধ বৈদেশিক মুদ্রা অথবা বৈদেশিক বিনিময় মুদ্রা সংক্রান্ত ব্যবসা-বাণিজ্যে জড়িত আছে বলে সন্দেহ করা হয়েছেন বা দোষী সাব্যস্ত হয়ে থাকেন।
– যে আবেদনকারী বাংলাদেশের কোনো ফৌজদারী আদালতে বিচারাধীন কোনো কার্যধারা এড়িয়ে যাচ্ছেন বা এড়াবার আশঙ্কা আছে অথবা কোনো আদলত থেকে বাংলাদেশের বাইরে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
– যে আবেদনকারী তার অনভিপ্রেত কার্যকলাপের দরুণ আগে কোনো দেশ থেকে বিতাড়িত হয়েছেন।
– যে আবেদনকারী স্বদেশে পূর্নবাসিত হয়েছেন কিন্তু পূর্নবাসনের খরচ তিনি প্রত্যার্পন করেননি।
– যে আবেদনকারীর নি:স্ব হওয়ার আশঙ্কা আছে এবং তার পূর্নবাসন সরকারি তহবিলের উপর বোঝাস্বরূপ হবে।
– যে নাবালকের জন্য আবেদন করা হয়েছে তাকে যদি আদালতের আদশে লঙ্ঘন বা বৈধ অভিভাবকের মতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার হচ্ছে বলে সন্দেহ করা হয়।
– যে আবেদনকারী শারীরিক বা মানসিক সমস্যায় ভুগছেন এবং যদি তার বৈধ অভিভাবক বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি সঙ্গে না থাকলে সে নিজের তত্ত্বাবধান নিজে করতে পারবে না।
এছাড়া যদি
– সরকারের মতে আবেদনকারী যদি বাংলাদেশের বাইরে বাংলাদেশের সাবভৌমত্ব বা নিরাপত্তার পক্ষে ক্ষতিকর কাজে জড়িত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
– সরকারেরর মতে আবেদনকারী আইনের অধীনে জনস্বার্থে দায়িত্ব পালন করতে বাধ্য কিন্তু কর্তব্য এড়ানোর বা এড়ানোর চেষ্টা করছে বলে যুক্তিসঙ্গতভাবে সন্দেহ করা হয়।
– যে সরকারের মতে যদি আবেদনকারী বরাবরের কোনো পার্সপোর্ট বা ভ্রমণ দলিল ইস্যু জনস্বার্থে হবে না।
তবে পাসপোর্ট প্রাপ্তি যেকোনো নাগরিকেরই অধিকার। আইন মেনে আবেদন করলে পাসপোর্ট না পাওয়ার কোনো কারণ নেই।