দেহের ওজন যদি আদর্শ ওজনের চেয়ে ১০ শতাংশ বেশি হয় তখন তাকে ওজন বেশি বলা হয়। আর যদি আদর্শ ওজনের চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি হয় তখন তাকে ওবেস বা ওজনাধিক্য বলে। প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত খাবার খেলে খাবারের বাড়তি অংশটুকু চর্বি আকারে শরীরে জমতে থাকে। এই অতিরিক্ত চর্বিই অতিরিক্ত ওজন সৃষ্টি করে। অতিরিক্ত ওজন হওয়ার পেছনে আরো অনেকে কারণ রয়েছে। যেমন-
* শারীরিক পরিশ্রম কম করা।
* অতিরিক্ত তেল-চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া।
* অনেকক্ষণ ধরে খাওয়া।
* দীর্ঘ সময় বসে বসে টেলিভিশিন দেখা, কম্পিউটারে গেইম খেলা এবং হাঁটার বদলে সব সময় যানবাহন ব্যবহার করা।
* শরীরে থাইরয়েড হরমোন কমে যাওয়া।
* বংশগত ও বিপাকীয় কারণেও ওজন বাড়ে।
যেসব রোগ হতে পারে
ডায়াবেটিস (টাইপ-টু), উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, স্লিপ এপনিয়া, রক্তে চর্বি বেশি হওয়াজনিত রোগ, লিভারের অসুখ ইত্যাদি।
ওজন কমাতে একটা সুষম খাবারের তালিকা একজন পুষ্টিবিদের কাছ থেকে জেনে নেওয়া ভালো। সে রকম একটি তালিকা দেওয়া হলো-
ডায়েট চার্ট
খাদ্যতালিকা ক্যালরি ৮০০
সকালের নাশতা
- রুটি ১টি
- ডিম সপ্তাহে ১টি
- কম তেলে সবজি ইচ্ছামতো।
মধ্য সকাল
- শুধু ফল অথবা সবজি স্যুপ
দুপুরের খাবার
- ভাত ১ কাপ
- মাছ বা মাংস ১ টুকরা
- ডাল আধা কাপ
- সবজি ইচ্ছামতো।
বিকেল
- হালকা নাশতা
- মুড়ি বা দুটো বিস্কুট
- এক কাপ চিনিবিহীন লাল চা।
রাতের খাবার
- রুটি ২টি বা ভাত ১ কাপ
- মাছ বা মাংস ১ টুকরা
- সবজি ইচ্ছামতো।
সারা দিনে সব খাবার তৈরি করতে তেলের পরিমাণ হবে ২০ গ্রাম।
আরো যা করবেন
- সময়মতো ও পরিমাণমতো খাবার আস্তে আস্তে খাওয়া
- খাওয়ার পর এক ঘণ্টা পর পানি পান করা
- কোমল পানীয় একদম বাদ দেওয়া
- টিভি দেখতে দেখতে চিপস বা অন্য কোনো খাবার না খাওয়া। এর ফলে অতিরিক্ত খাবার খাওয়া হয়ে যায়।
- ব্যায়াম করা। ব্যায়াম ও শারীরিক কাজর্কম ওজন কমাতে বড় ভূমিকা রাখে। এ ক্ষেত্রে সাঁতার কাটা, নিয়মিত সাইক্লিং ও দ্রুত হাঁটাও ভালো ব্যায়াম। দিনে ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট এবং সপ্তাহে পাঁচ দিন ব্যায়াম করা উচিত।