মাইগ্রেন একধরনের মাথাব্যথা। এ ব্যথা সাধারণত মাথার এক দিকে হয়, তবে কখনো কখনো দুদিকেও হতে পারে। যাদের মাইগ্রেন আছে তাদের শব্দ, আলো, গন্ধ, বাতাসের চাপের তারতম্য ও খাবার ইত্যাদির প্রভাবে নতুন করে মাথাব্যথা শুরু হতে পারে। তবে মাইগ্রেনে শুধু মাথাব্যথাই হয় না, তার সঙ্গে নানা উপসর্গও থাকে।
লক্ষণ
সব মাইগ্রেনের উপসর্গ এক রকম নয়। মাইগ্রেনের এই উপসর্গগুলো মাথাব্যথা শুরু হওয়ার বেশ আগে বা ঠিক আগমুহূর্তে বা মাথাব্যথার পরও দেখা দিতে পারে।
* সহনীয় থেকে তীব্র মাথাব্যথা, সাধারণত মাথার একপাশে তীব্র চাপা ব্যথা অনভূত হয়। এক পাশ থেকে অন্য পাশে স্থানান্তরিত হয়।
* মাথার শিরা ব্যথায় টনটন করে
* শারীরিক পরিশ্রমের সময় মাথাব্যথা বৃদ্ধি পায়
* মাথাব্যথার সময় স্বাভাবিক কাজকর্ম করা যায় না
* বমি বমি ভাব ও বমি
* অধিক আলো এবং শব্দ থেকে মাথাব্যথা।
কারণ
* অ্যালাজি
* উজ্জ্বল আলো, তীব্র শব্দ ও নানা ধরনের গন্ধ
* শারীরিক ও মানসিক চাপ
* অনিয়মিত ঘুম বা অনিদ্রা
* ধূমপান ও ধোঁয়া
* অনিয়মিত খাদ্যগ্রহণ ও অধিক সময় না খেয়ে থাকলে।
* অনিয়মিত মাসিক, নিয়মিত জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি গ্রহণ, মেনোপজের কারণে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা
* চকোলেট, বাদাম, মাখন, কলা, লেবু, পেঁয়াজ এবং দুগ্ধজাত খাবার নিয়মিত অতিরিক্ত সেবন।
* কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের গোলযোগ
* বংশগত।
পথ্য
* আধা গ্লাস গরম পানি, এক চা চামচ লেবুর রস, এক চা চামচ আদার রস, এক চা চামচ মধু মিশিয়ে চায়ের মতো ধীরে ধীরে পান করুন।
যা করবেন
* প্রতিদিন ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা ঘুম
* দুশ্চিন্তা বাদ
* নিয়মিত ব্যায়াম
* মদ ও নেশাজাতীয় দ্রব্য বর্জন
* নিয়মিত সঠিক সময়ে খাবার গ্রহণ।
রিফ্লেক্সোলজি বিন্দুসমূহ
১-৫, ২৫, ২৮,
মাইগ্রেন থেকে মুক্তি পেতে ওপরের প্রতিটি রিফ্লেক্সোলজি বিন্দুতে ৭০ থেকে ৮০ বা ২ মিনিট কাঠি দিয়ে চাপ প্রয়োগ করতে হয়। প্রতি ১ সেকেন্ডে ১টি করে চাপ দিতে হবে। ৬ ঘণ্টা পর পর দিনে সর্বোচ্চ ৩-৪ বার রিফ্লেক্সোলজি করা যায়। একেবারে খালিপেটে অথবা ভরাপেটে রিফ্লেক্সোলজি করা ঠিক নয়। খাওয়ার আধা ঘণ্টা পর করা যাবে। রোগের বয়স যত দিন তার
১ : ১০ ভাগ সময়কাল (অর্থাৎ রোগের বয়স ১০ বছর হলে থেরাপি নিতে হবে ১ বছর ) পর্যন্ত থেরাপি করলে রোগ নিরাময় সম্ভব।
টিপস
* যত দিন মাথার যন্ত্রণা না সারে তত দিন দিনে দুবার গরম পানিতে (যতটা গরম সহ্য করা যায়) ১০ থেকে ১৫ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখতে পারেন।
* খাঁটি ঘি সকাল ও বিকেলে ১ ফোঁটা করে নাকে দিলে বা বারবার শুঁকলে ব্যথা কমে যায়।
* মাথার যেদিকটায় ব্যথা সেদিকের নাকের ছিদ্রে ২ ফোঁটা শর্ষের তেল দিলে বা শুঁকলেও ব্যথা কমে যায়।