প্রচ্ছদ > স্বাস্থ্য > হেলথ টিপস > শিশুর বাড়তি ওজন নিয়ে চিন্তিত?
শিশুর বাড়তি ওজন নিয়ে চিন্তিত?

শিশুর বাড়তি ওজন নিয়ে চিন্তিত?

ডা. রবি বিশ্বাস :::

শিশুদের একটু মোটাসোটা বা নাদুস-নুদুস হলেই ভালো দেখায়—এই ধারণাটা সব সময় ঠিক নয়। শিশুদেরও বেশি মুটিয়ে গেলে দেখা দেয় নানা সমস্যা। গবেষণায় দেখা যায়, ওজনাধিক্য শিশুরা বয়স বাড়লে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও হূদেরাগের ঝুঁকিতে পড়ে। মোটা শিশুদের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। ঘুমের মধ্যে শ্বাসকষ্ট হয়। মনোযোগে ঘাটতি হয়, স্কুলে দক্ষতা কমে যায়।
কীভাবে বুঝবেন
বয়স ও উচ্চতা অনুযায়ী শিশুদের আদর্শ ওজন কত হওয়া উচিত তার একটি সারণি রয়েছে। যদি আপনার শিশুকে অন্যান্য স্বাভাবিক শিশুর তুলনায় একটু বেশি স্বাস্থ্যবান মনে হয়, তবে চিকিৎসকের কাছে গিয়ে এই সারণি মিলিয়ে দেখতে পারেন। সারণি বা তালিকা মিলিয়ে চিকিৎসক বলতে পারবেন শিশু আসলে অতিরিক্ত ওজন সমস্যায় ভুগছে কি না।
কেন
দু-একটা দুর্লভ রোগ ছাড়া বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই শিশুদের অতিরিক্ত ওজনের জন্য অনিয়ন্ত্রিত মন্দ খাদ্যাভ্যাস ও কায়িক শ্রমের অভাবই দায়ী। দিনের পর দিন উচ্চ ক্যালরি ও চর্বিসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করার কারণে দেহে চর্বি কোষের পরিমাণ ও আয়তন বেড়ে যায়। অন্যদিকে, কোনো খেলাধুলা বা পরিশ্রম না করায় সেই চর্বি ভাঙারও সুযোগ পায় না। ফলে শিশু মোটা হতে থাকে। এ ছাড়া হরমোন, জিনগত, স্নায়ুরোগ, মানসিক রোগ বা ওষুধের প্রতিক্রিয়ায়ও অস্বাভাবিক ওজন বাড়াতে পারে।
করণীয়
বিশদভাবে শিশুর দৈনিক খাদ্যাভ্যাস, পরিবারের খাদ্যাভ্যাস, বুদ্ধিমত্তা ও মানসিক অবস্থা, কায়িক শ্রমের হিসাব (মাঠে খেলাধুলা, কম্পিউটার গেম বা টিভি দেখা ইত্যাদি), অতি ওজনের প্রতি পরিবার ও শিশুর দৃষ্টিভঙ্গি ইত্যাদি জানা উচিত। কোনো বিশেষ রোগের প্রতি সন্দেহ থাকলে হরমোন বা অন্যান্য পরীক্ষা করা যেতে পারে। রক্তে শর্করা ও চর্বি পরীক্ষাও করা হয়।
অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি যাতে না হয় সেদিকে অভিভাবকদের যে বিষয়গুলো দেখতে হবে:
# উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার যেমন ফাস্টফুড ও ভাজা ফ্রাই খাবার, কেক পেস্ট্রি, চকলেট এবং ক্যালরিযুক্ত পানীয় দিনের পর দিন না খাওয়া
# দৈনিক খাদ্য তালিকায় ও টিফিনেও বাড়িতে তৈরি স্বাস্থ্যকর খাদ্য, বেশি করে শাকসবজি ও ফলমূল জাতীয় খাবার রাখা
#কায়িক শ্রম ও খেলাধুলায় উৎসাহী করা, যেমন মাঠে ফুটবল ক্রিকেট খেলা, সাইকেল চালনা, সাঁতার ইত্যাদি
# দীর্ঘ সময় বসে করতে হয় এমন কাজ যেমন টিভি দেখা বা কম্পিউটার খেলায় নিয়ন্ত্রণ, টিভি দেখে খাওয়া-দাওয়া এড়ানো ইত্যাদি।
#শিশু হরমোন বিভাগ, ঢাকা শিশু হাসপাতাল।

 

Comments

comments

Comments are closed.