প্রচ্ছদ > খেলা > টিভিতে খেলা > বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান তিন চ্যানেলে
বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান তিন চ্যানেলে

বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান তিন চ্যানেলে

আজ ব্রাজিল বিশ্বকাপের মহা-উদ্বোধন। বাংলাদেশ সময় রাত সোয়া বারোটায় শুরু হবে ২৫ মিনিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। এ অনুষ্ঠান বাংলাদেশে সরাসরি সম্প্রচার করবে বিটিভি, মাছরাঙা টেলিভিশন ও গাজী টিভি (জি টিভি)। আজ রাত ১টা ৫৫ মিনিটে শুরু হওয়া ব্রাজিল-ক্রোয়েশিয়ার মধ্যকার উদ্ভোধনী ম্যাচও সম্প্রচার করবে এ তিনটি চ্যানেল।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষ হবে ‘উই আর ওয়ান’ (ওলে ওলা) দিয়ে। সংগীতশিল্পী জেনিফার লোপেজ, পিটবুল ও ক্লদিয়া লেইতে গাইবেন বিশ্বকাপের এ থিম সং৷ এর আগে ৬০০ নৃত্যশিল্পী, জিমন্যাস্ট, ট্রামপোলিনিস্ট মাতিয়ে রাখবেন করিন্থিয়ানস অ্যারেনা। তাঁদের সঙ্গে মঞ্চ আলো করে থাকবে ৯০ হাজার গুচ্ছবাতি দিয়ে তৈরি বিশাল এক ‘জীবন্ত’ এলইডি বল। অনুষ্ঠানটা ২৫ মিনিটের, কিন্তু আয়োজকেরা বলছেন, প্রতিটি মিনিটের জন্যই প্রস্তুতি নিতে হয়েছে আনুমানিক ২০ ঘণ্টা করে। পুরো অনুষ্ঠানের রিহার্সালই হয়েছে ৮৪ ঘণ্টা।
অনুষ্ঠানটা সাও পাওলোর স্থানীয় সময় বেলা সোয়া তিনটায়। তাই থাকছে না কোনো আতশবাজির খেলা। তবে থাকছে ক্যাপোয়েইরা (নাচ, অ্যাক্রোবেটিকস ও গানের সমন্বয়ে এক ধরনের ব্রাজিলিয়ান মার্শাল আর্ট)। পুরো অনুষ্ঠানেই নানা ধরনের সাজপোশাক পরা বিভিন্ন চরিত্র ফুটিয়ে তুলবে ব্রাজিলের জাতীয় ‘সম্পদগুলো’কে।  এবার কেবল সংক্ষিপ্ত কিন্তু জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দিয়ে বিশ্বকে চমকে দেওয়া
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পরিচালক বেলজিয়ামের নাগরিক ড্যাফনে করনেই জানান, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটা ব্রাজিল ও এর সম্পদ যেমন: প্রকৃতি, মানুষ, ফুটবল ইত্যাদিকেই তুলে ধরবে। সবাই এতটাই আচ্ছন্ন অনুষ্ঠান নিয়ে, সবার সব ক্লান্তি যেন দূর হয়ে গেছে। একই কাজ বারবার করেও কারও মুখের হাসি মিলিয়ে যায়নি। চমৎকার একটা ব্যাপার।’
অনুষ্ঠানের বড় চমকটা অবশ্য নাচগান হবে না। পক্ষাঘাতগ্রস্ত এক রোগী পুরোপুরি যন্ত্রমানব হয়েই লাথি মারবেন ফুটবলে। বিজ্ঞানের চরম উৎকর্ষের প্রমাণ দেওয়া পোশাকটাকে নিয়ন্ত্রণ করে পোশাকধারীর মস্তিষ্ক। আয়োজকেরা আশা করছেন, আগের আসরগুলোর মতোই সাড়া ফেলবে এবারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেয় ১৫০০ লোক।

Comments

comments

Comments are closed.