হাজারো ঝক্কি সামলে ঈদে বাড়ি ফেরার আনন্দই আলাদা। ট্রেনের টিকেট না পেলে বাড়বে কিন্তু বিড়ম্বনা। জানেন তো, শুরু হয়ে গেছে ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রি? কত তারিখের টিকেট কবে, জেনে নিন বিস্তারিত-
আসন্ন কোরবানি ঈদে রাজধানী থেকে ঘরমুখো যাত্রীদের জন্য ট্রেনের আগাম টিকেট বিক্রি শুরু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ২ অক্টোবর বুধবার দেয়া হচ্ছে আগামী ১১ অক্টোবরের টিকেট। এভাবে ধারাবাহিকভাবে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত যাত্রার টিকেট পাওয়া যাবে। রেলওয়ের মহাপরিচালক আবু তাহের জানান, ঈদের আগে আগামী টিকেট বিক্রি করা হবে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত। আর ঈদ শেষে রাজধানী ফেরত যাত্রীদের জন্য আগাম টিকেট বিক্রি করা হবে ৯ থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত। ওই সময়ের মধ্যে ধারাবাহিকভাবে পাওয়া যাবে ১৮ থেকে ২২ অক্টোবরের অাগাম টিকেট।
যাওয়ার টিকেট :
১১ অক্টোবর যাত্রার টিকেট ২ অক্টোবর
১২ অক্টোবর যাত্রার টিকেট ৩ অক্টোবর
১৩ অক্টোবর যাত্রার টিকেট ৪ অক্টোবর
১৪ অক্টোবর যাত্রার টিকেট ৫ অক্টোবর
১৫ অক্টোবর যাত্রার টিকেট ৬ অক্টোবর
ঈদ ফেরত যাত্রীদের ভ্রমণের সুবিধার্থে রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, দিনাজপুর ও লালমনিরহাট স্টেশন থেকে বিশেষ ব্যবস্থায় আন্তঃনগর ট্রেনের টিকেট আগামী ৯ অক্টোবর থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিক্রি করা হবে। এ সময় ঈদের বিশেষ ট্রেনের অগ্রিম টিকেটও বিক্রি করা হবে।
ফিরতি টিকেট :
১৮ অক্টোবর যাত্রার টিকেট ৯ অক্টোবর
১৯ অক্টোবর যাত্রার টিকেট ১০ অক্টোবর
২০ অক্টোবর যাত্রার টিকেট ১১ অক্টোবর
২১ অক্টোবর যাত্রার টিকেট ১২ অক্টোবর
২২ অক্টোবর যাত্রার টিকেট ১৩ অক্টোবর
একজন যাত্রী সর্বোচ্চ ৪টি অগ্রীম টিকেট নিতে পারবেন, যা ফেরত নেয়া হবে না। বরাবরের মতো ভিভিআইপি অথবা ভিআইপিদের জন্য অতিরিক্ত কোচ থেকে এসি ও প্রথম শ্রেণীর ৫ শতাংশ আসন সংরক্ষিত রাখার পাশাপাশি রেলওয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য শুধুমাত্র পাসের বিপরীতে ইস্যুর জন্য ৫ শতাংশ টিকেট সংরক্ষিত রাখা হয়েছে।
রেলের মহাপরিচালক আবু তাহের জানিয়েছেন, ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন রুটে ৯টি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এগুলো ১৩ থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। ফেরত যাত্রীদের চাপ থাকলে প্রয়োজনে ঈদের পরও বিশেষ ট্রেন চলাচল করবে।
এছাড়া ঈদের দিন ভৈরব-ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ রুটে ৪টি বিশেষ ট্রেন চলাচল করবে বলেও জানান তিনি।
ঈদ উপলক্ষে পাহাড়তলী ও সৈয়দপুর ওয়ার্কশপ থেকে মোট ১২২টি কোচ যাত্রীদের ব্যবহারের জন্য সরবরাহ করা হবে।