এখনই শুরু হয়ে গেছে ঈদের কেনাকাটা। একই ছাদের নিচে সবকিছু পেয়ে গেলে মন্দ কী? কিন্তু যেখানে যাচ্ছেন, কীভাবে নিশ্চিত হবেন যা চাইছেন তা পাবেন কি-না
ঈদ এসে গেল বলে! তাই জমে উঠেছে শপিংমল। শুধু একটা জিনিস, তা কিন্তু নয়, অনেক কিছুই কেনার থাকে। অনেকেই একটি নির্দিষ্ট স্থান থেকে কিছু জিনিস কেনেন।
আবার অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায়, যেখানে কিনতে গিয়েছিলেন সেখানে মনের মতো জিনিস পেলেন না। তাই একটু খোঁজখবর নিয়ে বাসা থেকে বের হলে খুব সহজেই সেরে ফেলতে পারেন আপনার শপিং।
বসুন্ধরা সিটি
রাজধানীর নামকরা এবং জনপ্রিয় শপিং মলগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। অনেকেই এখানে শপিং করে নানা কারণে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। সব কিছুই পাওয়া যায়। আপনার যদি শখের এবং স্টাইলিশ ঘড়িটা লাগে তাহলে চলে যেতে পারেন বসুন্ধরা সিটির লেভেল-১। সেখানে পাবেন ঘড়ির দোকানের সম্ভার। লেডিস, জেন্টস সব ধরনের ঘড়ির দেখা মিলবে সেখানে। চাইলে নিতে পারেন সোনালি রঙা চেইন, আবার রুপালি রঙের মধ্যে গর্জিয়াস পাথর সেট করা ঘড়ি।
প্রায় সব ধরনের ঘড়ির ব্যান্ডের দেখা মিলবে এখানে। একই সঙ্গে পাবেন ইলেকট্রনিক পণ্য, স্মার্টফোন। দেশি দশসহ দেশি-বিদেশি পোশাকের শোরুম, সিনেমা হল থেকে শুরু করে ফুড কোর্ট_ সবই পাবেন এক ছাদের নিচে। দামও সাধ্যের মধ্যে।
ঠিকানা : বসুন্ধরা সিটি, পান্থপথ, ঢাকা-১২১৫।
রাপা প্লাজা
ধানমণ্ডি শপারদের জন্য খুবই চেনা একটা জায়গা। আর রাপা প্লাজায় শপিং বিশেষত তরুণদের কাছে খুবই প্রিয়। এখন নানা ধরনের ম্যাচিং কাপড় উঠেছে। নানা ধরনের নকশা প্রিন্ট এবং কাজ করা। চলে যান রাপা পল্গাজায়। বিভিন্ন ধরনের গজ কাপড় আছে। কোনোটার নিচে লেইস দেওয়া আবার কোনোটার নিচে কারচুপির কাজ করা। আছে নানা ধরনের ফ্লোরাল প্রিন্ট করা কাপড়। ম্যাচিং করে পাবেন সালোয়ার-ওড়নার কাপড়ও।
ঠিকানা :রাপা প্লাজা, রোড নং-১৬ [নতুন],২৭ [পুরাতন], ধানমণ্ডি, ঢাকা-১২০৯।
মেট্রো শপিং মল
স্টুডেন্টদের কাছে এটি খুবই জনপ্রিয়। বিশেষ করে আজিমপুরের বাসিন্দা আর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ূয়াদের কাছে। আর দৈনন্দিন এবং নিত্যদিনের ব্যাগের জন্য তো কথাই নেই। এখানে আছে চোখ ধাঁধানো ব্যাগের কালেকশন। হাতব্যাগ, পার্স, ওয়ালেটসহ নানা ধরনের ক্লচ পাবেন। আছে ওয়াটারপ্রুফ ব্যাগও। কম দামে টেকসই এবং ট্রেন্ডি জুতার জন্যও মেট্রো শপিং মল আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।
ঠিকানা :মেট্রো শপিং মল, ধানমণ্ডি ১২ [নতুন], ৩১ [পুরাতন], ধানমণ্ডি-১২০৯, ঢাকা।
কনকর্ড টাওয়ার
শপিং ম্যানিয়াকদের কাছে খুবই জনপ্রিয় এই নাম। শান্ত নিরিবিলিতে শপিং করার জন্য এটি অনেকের কাছেই বেশ পছন্দের। নিচতলায় টাইটানের ঘড়ির বেশ ভালো একটি কালেকশন এবং বেশ কিছু কসমেটিকসের দোকান আছে। তবে জানেন তো, ২য় তলায় গেলে আপনি পাচ্ছেন মনের মতো দর্জির ঘর। অর্থাৎ টেইলার্স। দক্ষ কাটিং মাস্টারদের হাতে পরিচালিত হচ্ছে এগুলো। জামার অনেক ধরনের ক্যাটালগ থেকে বেছে নিতে পারেন হাতা, গলার বিভিন্ন নকশা। চাইলে এমব্রয়ডারির কাজও করিয়ে নিতে পারবেন। একই ফ্লোরে কাপড়ের দোকানও পাবেন।
ঠিকানা :কনকর্ড আর্কেডিয়া শপিং মল, রোড নং-৪, মিরপুর রোড (ল্যাবএইডের পাশে)।
ইস্টার্ন মল্লিকা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা অথবা হলগুলোতে থাকেন অথচ ইস্টার্ন মলি্লকায় শপিংয়ে যান না, এটি খুবই কম। শপিং-খাওয়া সবই চলে এখানে। আজকাল অনেকেই সোনার গহনা ছেড়ে ইমিটেশনের গহনার দিকে ঝুঁকছেন। তার জন্য নিশ্চিন্তে চলে যান ইস্টার্ন মলি্লকায়। নিচতলায় পেয়ে যাবেন মনের মতো অলঙ্কার। ডায়মন্ড কাট থেকে শুরু করে বিভিন্ন লক করা পাথরসহ মেটালের অর্নামেন্ট পাবেন এখানে। আছে সিঙ্গেল আংটি, নাক ফুল, কানের দুল, ব্রেসলেট। সঙ্গে পাবেন সব মিলিয়ে গহনার চোখ ধাঁধানো সেট।
ঠিকানা : ড. কুদরত-ই খুদা রোড [এলিফেন্ট রোড], ঢাকা-১২০৫।
সানরাইজ প্লাজা
দিন ঘনিয়ে সন্ধ্যা হলেই ভিড় জমতে থাকে সানরাইজ প্লাজায়। থ্রিপিসের জন্যে যে সানরাইজের নামটা বেশ উল্লেখ্য এতে কোনো সন্দেহ নেই। এখানে নিচ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ফ্লোরেই পেয়ে যাবেন আনস্টিচড থ্রি-পিস সেট। আছে চলতি ফ্যাশনের সব ছোঁয়া। বাইরের থ্রি-পিস পাবেন। তাতে ইয়কের অ্যাম্বুস আর এমব্রয়ডারি ও সুতার কাজ বেশি দেখতে পাবেন। প্রিন্টেডসহ নানান ফেব্রিকের থ্রি-পিসের সেট পাবেন।
ঠিকানা :সানরাইজ প্লাজা- বল্গক-এ, লালমাটিয়া, ঢাকা।
আর এ কে টাওয়ার
উত্তরায় খুবই পরিচিত একটি নাম আর এ কে টাওয়ার। তবে শপিং মলে ঢুকেই ব্যস্ত হয়ে পড়বেন সাজ অনুষঙ্গ নিয়ে। নিচতলাতেই পেয়ে যাবেন বিভিন্ন ফ্যাশন এক্সেসরিজের শপ। দেশি-বিদেশি যে কোনো থাই প্রডাক্ট পাবেন এখানেই।
ঠিকানা: আর কে টাওয়ার, জসিমউদ্দিন মোড়, উওরা, ঢাকা।