প্রচ্ছদ > জেনে নিন > অনলাইনে পাওয়া যাবে বিদেশি সাহায্যের তথ্য
অনলাইনে পাওয়া যাবে বিদেশি সাহায্যের তথ্য

অনলাইনে পাওয়া যাবে বিদেশি সাহায্যের তথ্য

বিভিন্ন দাতা দেশ ও সংস্থার মাধ্যমে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ বিদেশি সহায়তা পায় বাংলাদেশ। এ অর্থ কোন কোন খাতে খরচ হয় তা এখন জানা যাবে অনলাইনে। এ জন্য ‘বাংলাদেশ এইড ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ বা ‘বাংলাদেশ এইমস’ নামের একটি ওয়েব পোর্টাল বা তথ্য বাতায়ন খুলেছে সরকার।
রবিবার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত রাজধানীর শেরেবাংলানগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই তথ্য বাতায়নের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, ‘এখন পর্যন্ত অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে আমাদের অগ্রগতি বেশ ভালো। তবে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ হতে হলে ৯ শতাংশের বেশি হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হবে। এ জন্য বিনিয়োগ বাড়ানোর পাশাপাশি বিদেশি সহায়তার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।’
বৈদেশিক সহায়তার ওপর বাংলাদেশের নির্ভরশীলতা কমেছে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৭ সালে যেখানে জিডিপির ১২ শতাংশ বৈদেশিক সহায়তা ছিল, এখন সেটি জিডিপির ১ দশমিক ৮ শতাংশে নেমেছে। এর পাশাপাশি বৈদেশিক সহায়তার ব্যবহারের সক্ষমতাও বেড়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, ইআরডি সচিব মেজবাহউদ্দিন আহমেদ ও ইউএসএইডের বাংলাদেশ প্রধান জানিনা জারুজেলস্কি বক্তব্য দেন।
বাংলাদেশ এইমস হচ্ছে এমন একটি ওয়েবভিত্তিক সফটওয়্যার, যার মাধ্যমে বিদেশ থেকে আসা উন্নয়ন তহবিল-সম্পর্কিত সব ধরনের তথ্য ও উপাত্ত পাওয়া যাবে। দেশের যেকোনো নাগরিক, দাতা দেশ ও সংস্থা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা এই ওয়েবসাইটের তথ্য ব্যবহার করতে পারবেন। এ তথ্যভাণ্ডারটি সবার জন্য উন্মুক্ত।
এইমসে তথ্য সরবরাহের জন্য বাংলাদেশে কার্যরত সব দাতা দেশ ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাকে এই ওয়েবসাইটে নিবন্ধন নিতে হবে। ইতিমধ্যেই বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), জাইকা, ইউএসএইডসহ ১৭টি দাতা সংস্থা রেজিস্ট্রেশন করে তথ্য সরবরাহের কাজ শুরু করেছে।
অনুষ্ঠানে ড. মশিউর রহমান বলেন, বাংলাদেশ হচ্ছে খুবই স্বল্পসংখ্যক দেশগুলোর একটি যারা নিজেরাই তাদের দেশীয় লোকবলের মাধ্যমে এই এইমস সফটওয়্যারটি তৈরি করতে পেরেছে। সফটওয়ারটি খুবই সুলভ, টেকসই ও সহজে সংস্কারযোগ্য বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান জানান, বিভিন্ন মন্ত্রনালয়, সংস্থা এবং নাগরিক সমাজের মতামত নিয়ে সফটওয়্যারটি তৈরি করা হয়েছে।
দাতা সংস্থাগুলোর পক্ষে অনুষ্ঠানে ইউএসএইডের বাংলাদেশ প্রধান জানিনা জারুজেলস্কি বলেন, ‘আমরা আশা করি বিদেশি সহায়তার কার্যকর ব্যবহার এবং স্বচ্ছতা বাড়াতে এটি কার্যকর ভ’মিকা রাখবে।’
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ‘বৈদেশিক সাহায্যের কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিতে সক্ষমতা বৃদ্ধি’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এই তথ্য বাতায়ন তৈরি করা হয়েছে। প্রকল্পটির বাস্তবায়ন সময় ধরা হয়েছে সেপ্টেম্বর ২০১১ থেকে জুন ২০১৬ পর্যন্ত। এ প্রকল্পের ব্যয় ৪৪ লাখ ৭৫ হাজার ডলার। এই প্রকল্পে সরকার ছাড়া ইউএনডিপি, ডিএফআইডি, অস্ট্রেলিয়ান এইড ও ড্যানিডা অর্থ সহায়তা দিচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দাতা দেশ ও সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

Comments

comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*