প্রচ্ছদ > কেনাকাটা > বাজারদর > এই গরমে শীতল পরশ
এই গরমে শীতল পরশ

এই গরমে শীতল পরশ

গরমে শীতল অনুভূতি এনে দিতে পারে এসি। ভ্যাপসা গরম তাড়াতে কিনতে পারেন এয়ার কন্ডিশনার বা এয়ার কুলার। বিস্তারিত জানাচ্ছেন সানজিদ আসাদ

গরমে অস্থির অবস্থা। ঘামে শরীর একাকার। এ সময় স্বস্তি দিতে পারে এয়ার কন্ডিশনার বা এয়ার কুলার। এসি কিনতে গেলে খরচ করতে হবে প্রায় ৪৫ হাজার টাকা। এসি কেনার সামর্থ্য না থাকলে কিনতে পারনে এয়ার কুলার। মাত্র ৬ হাজারেও পেতে পারেন এয়ার কুলার। এয়ার কুলার ঘর ঠাণ্ডা না রাখলেও, ঠাণ্ডা বাতাস দেয়। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এয়ার কুলার বাজারে পাওয়া যায়। এগুলো বেশিরভাগই চীন, তাইওয়ান ও ভারত থেকে আমদানী করা।

কেমন এসি চাই
বাসাবাড়ি, অফিস, শ্রেণীকক্ষ বা হলরুমে ব্যবহার করা হয় এয়ার কন্ডিশনার বা এসি। কত বড় এসি দরকার তা নির্ভর করে ঘরের আকার-আয়তনের উপর। কক্ষের আয়তন ১০০-১২০ বর্গফুট হলে ১ টন এসি। সর্বনিম্ন দাম ৪৭ হাজার টাকা। আয়তন ১৫০-২০০ বর্গফুট হলে দেড়টন এসি। সর্বনিম্ন দাম ৫১ হাজার টাকা। ১৮০-২২০ বর্গফুট আয়তনের কক্ষের জন্য প্রয়োজন হবে ২ টন এসি। সর্বনিম্ন দাম ৬১ হাজার টাকা।
৩৫০ বর্গফুট আয়তনের কক্ষের জন্য ৩ টন এসির প্রয়োজন হবে। দাম ১ লাখ ৭৩ হাজার টাকা থেকে শুরু।
পোর্টেবল এয়ার কন্ডিশনারের দাম ৪৫ হাজার টাকা থেকে শুরু। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের উপর দাম কিছুটা কম-বেশি হতে পারে।

এয়ার কন্ডিশনারের দরদাম
এলজি, সিঙ্গার, ওয়ালটন, সিমেন্স, গ্রি, ট্রান্সটেক, হাইয়ার, জেনারেল ইলেক্ট্রনিক্সসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ড ও মডেলের এয়ার কন্ডিশনার বাজার ভর্তি। সিলিং, স্প্লিট ও উইন্ডো ছাড়াও পোর্টেবল এয়ার কন্ডিশনার বাজারে পাওয়া যায়। একেক ব্র্যান্ডের এয়ার কন্ডিশনারের দাম একেকরকম।

এলজি বাটারফ্লাই
এলজি ব্র্যান্ডের বিভিন্ন মডেলের এয়ার কন্ডিশনারের দাম ৫৪ হাজার ৮৯০ টাকা থেকে ১ লাখ ৭৭ হাজার ৭৫০ টাকা।

ইস্কয়ার ইলেক্ট্রনিক্স লিমিটেড
জেনারেল, শার্প ও মিতশুবিশি ব্র্যান্ডের এয়ার কন্ডিশনার বিক্রি করে তারা। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এয়ার কন্ডিশনারের দরদাম সম্পর্কে মহাখালীর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ স্মরণীতে অবস্থিত ইস্কয়ার ইলেক্ট্রনিক্স শো-রুমের ব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর আলম জানালেন বিস্তারিত।
এক টন এসি: জেনারেল ৬৬ হাজার ৫শ’ টাকা। শার্প ৫২ হাজার ৯শ’ টাকা। মিতশুবিশি ৬০ হাজার টাকা।
দেড় টন এসি: জেনারেল ৯২ হাজার টাকা। শার্প ৭২ হাজার ৯শ’ টাকা। মিতশুবিশি ৭৯ হাজার ৫শ’ টাকা।
দুই টন এসি: জেনারেল ৯৯ হাজার ৫শ’ টাকা। শার্প ৭৯ হাজার ৯শ’ টাকা। মিতশুবিশি ৮৯ হাজার টাকা।

মিতশুবিশি ছাড়া অন্য ব্র্যান্ডগুলোর ইন্সটলেশন চার্জ ৭ হাজার টাকা। এছাড়া থাকছে ২ বছরের কমপ্রেশার ওয়ারেন্টি এবং ৩ বছর বিনা খরচে সার্ভিসিংয়ের সুবিধা।

এয়ার কুলারের দরদাম
ঘরের আদ্রতা স্বাভাবিক রাখতে এয়ার কুলারের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। দামও কম। সহজে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তর করা যায়। এয়ার কুলারের মাধ্যমে ঘরের আদ্রতা সহনীয় মাত্রায় রাখা হয়। এজন্য বরফ কিংবা পানি ব্যবহার করে এয়ার কুলারের মাধ্যমে ঠাণ্ডা বাতাস বের করা হয়। এতে ঘর ঠাণ্ডা হয় কম, তবে বাতাস দেয় ঠাণ্ডা।
বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এয়ার কুলার বাজারে পাওয়া যায়। মডেল ভেদে দাম ৬ হাজার থেকে ১৬ হাজার টাকা।

ওয়ালটন এয়ারকুলার (রিচার্জেবল)
মডেল: ডব্লিওআরএ-১১৮১। দাম: ৮ হাজার ৯০০ টাকা।
এসি/ডিসি কানেকশন ও এলইডি ডিসপ্লে প্যানেল রয়েছে। এছাড়াও আছে ডিজিটাল কন্ট্রোল সিস্টেম। হাই-মিডিয়াম-লো স্পিড অথবা স্লিপিং মুড। সহজে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তর করা যায়।
ওয়ালটন ব্র্যান্ডের বিভিন্ন মডেলের এয়ার কন্ডিশনারও পাওয়া যায়।

ভিডিওকন এয়ার কুলার
মডেল : ভিডিওকন-সিএল-ভিসি-১২১৮। দাম: ৬ হাজার টাকা।
এটি ব্যবহার করে ১২০ স্কয়ারফিট একটি রুম অনায়াসে ঠাণ্ডা করা যাবে। ১২ লিটার পানি ধারণ ক্ষমতায় এটি চালাতে ১৩০ ওয়াট বিদ্যুত খরচ হবে। বিদ্যুত চলে গেলে আইপিএস দিয়েও চালানো যায়। বাতাস ঠাণ্ডা করার জন্য রয়েছে আইস চেম্বার। এছাড়া পানি কতটুকু আছে তা-ও বোঝা যাবে ইন্ডিকেটরের মাধ্যমে।
৯ হাজার ৫শ’ টাকা বাজেটের মধ্যে একই প্রতিষ্ঠানের আরও কিছু মডেলের এয়ারকুলার আছে।

হানিওয়েল এয়ার কুলার
মডেল: সিএস১০এক্সই। দাম: ১০ হাজার টাকা।
সম্পূর্ণ রিমোট কন্ট্রোল এই মডেলের এয়ার কুলার ব্যবহার করে ১৭৫ স্কয়ারফিট একটি রুম ঠাণ্ডা রাখা যাবে। পানি ধারণ ক্ষমতা ১০ লিটার। ৯৫ ওয়াট বিদ্যুৎ খরচ হয়। এতে রয়েছে আইস চেম্বার। পানি কমে গেলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এলার্ম বেজে ওঠে।

সিম্ফনি এয়ার কুলার
সিল প্লাস, রেঞ্জার, অ্যাপোলো এয়ার কুলার, ক্রিয়েটিভ এয়ার কুলার ও ওশান এয়ার কুলার নামে ভিন্ন মডেলের কুলার বাজারজাত করছে এ প্রতিষ্ঠান।
সিম্ফনি ব্র্যান্ডের বিভিন্ন মডেলের এয়ারকুলারের দাম জানতে ভিজিট করতে পারেন সিম্ফনিবাংলাদেশ ডটকম-এ।

* বাজারভেদে দাম কম-বেশি হতে পারে।

 

Comments

comments

Comments are closed.