প্রচ্ছদ > কেনাকাটা > শিশুর ঈদের পোশাক
শিশুর ঈদের পোশাক

শিশুর ঈদের পোশাক

এবার ঈদে বৃষ্টি, প্রচণ্ড রোদ কিংবা মেঘলা আকাশের লুকোচুরি খেলা থাকতেই পারে। সময়টাই এমন। তাই মিশ্র আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে আপনার সোনামণির জন্য নির্বাচন করুন আরামদায়ক পোশাক। কিন্তু পাবেন কোথায়?

রমজান শেষে খুশির ঈদ। ঈদের আগে রমজানজুড়ে ঘরে ঘরে ঈদের কেনাকাটা শুরু হয়ে গেছে। ঈদের আনন্দটা সবচেয়ে বেশি শিশুদেরই। তাই তো সব শ্রেণীর মানুষের কাছে ঈদের সব আনন্দ পরিবারের ছোট্ট শিশুদের ঘিরে। কেনাকাটার সময় বড়দের তুলনায় শিশুরাও কম যায় না। এরই মধ্যে বড়দের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে তাদের নানা আবদার।

ছোটদের ফ্যাশন
বড়দের পোশাক কেনা হোক বা না হোক, ছোটদের পোশাক কেনা চাই-ই চাই। অভিভাবকদেরও ভাবনায় থাকে সবচেয়ে আকর্ষণীয় সুন্দর পোশাকটি কিনে দিতে হবে তার সন্তানকে। বাজার ঘুরে দেখা গেল, বিভিন্ন রঙ ও নকশায় অলঙ্কৃত করা হয়েছে শিশুদের পোশাক। দেশি ফ্যাশন হাউসগুলোও বড়দের পাশাপাশি হাল ফ্যাশনের পোশাক এনেছে ছোট্ট শিশুদের জন্য। অঞ্জন’স, ওটু, আড়ং, রঙ, দেশাল, চাঁদের হাসি, অন্যমেলা, নগরদোলা, সাদাকালো, নিত্যউপহার, মায়াসির_ প্রায় সব ফ্যাশন হাউসই তাদের নিজেদের ডিজাইন মেলে ধরেছে ঈদকে সামনে রেখে। পাঞ্জাবি, ফতুয়া, থ্রিপিসসহ সব ধরনের পোশাকে থাকছে দেশীয় ঐতিহ্যের ছোঁয়া। স্ক্রিন প্রিন্ট, ব্লক, হালকা কারচুপি, মেশিন এমব্রয়ডারিতে উৎসবের রঙে সাজানো হয়েছে শিশুদের পোশাক। ছেলে শিশুদের পাঞ্জাবিতে কাপড় হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে অ্যান্ডি, সিল্ক, মসলিন ও খাদি। উৎসবের আমেজ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বিভিন্ন রকম হাতের কাজ দিয়ে। যাত্রায় শিশুদের পোশাকের কাটিংয়ে নান্দনিক নকশা করা হয়েছে। ৭টি বিলুপ্তপ্রায় পাখির থিমে তারা রাঙিয়েছে শিশুদের পোশাক। এখানে অ্যান্ডি ও সুতি কাপড় প্রাধান্য পেয়েছে। প্রায় সব হাউসেই রঙ হিসেবে শিশুদের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে নিয়ন বা ফ্লুরোসেন্ট কালার। এ ছাড়া ভিন্নতা আনা হয়েছে মেয়েদের পোশাকেও।

কোথায় পাবেন?
চেইন হাউসগুলো ছাড়াও দেশাল, বাংলার মেলা, কে ক্রাফট, অঞ্জন’স, গার্লস ক্লোজেট, নন্দন, নিপুণ, নিউমার্কেট, গাউছিয়াসহ ছোট-বড় সব ফ্যাশন হাউসে শিশুদের নান্দনিক পোশাক পাওয়া যাবে। এ ছাড়া শিশুদের পছন্দ উপযোগী কার্টুন চরিত্র আঁকা ঈদের পোশাক পাবেন ঢাকার বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স, রাপা প্লাজা, ইস্টার্ন প্লাজা, মেট্রো শপিংমল ও সীমান্ত স্কয়ারে। ঘুরে আসতে পারেন বদরুদ্দোজা সুপার মার্কেটেও। তবে খেয়াল রাখবেন, শিশুদের ত্বক অতিমাত্রায় সংবেদনশীল। তাই এমন পোশাক পরিধান করাবেন না যেটা শিশুর অস্বস্তির কারণ হয়।

দরদাম
ফ্যাশন হাউসগুলোতে কাজ অনুসারে পাঞ্জাবিগুলোর দাম ৫৫০ থেকে ৩ হাজার, টি-শার্ট ১৫০ থেকে ৫০০, ফতুয়া পাবেন ৩০০ থেকে ১ হাজার ২০০ ও মেয়ে শিশুদের সালোয়ার-কামিজ পাবেন ৮৫০ থেকে ৭ হাজার টাকার মধ্যে। ফ্রক পাওয়া যাবে ৫০০ থেকে ৪ হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে। বিভিন্ন শপিংমলে নান্দনিক নামের জামা পাবেন ১ হাজার ৫০০ থেকে ৭ হাজার টাকার মধ্যে। অনেকেই শিশুকে সঙ্গে নিয়ে তার পোশাকটি কিনতে চান। সে ক্ষেত্রে মনে করিয়ে দেই, মার্কেটে ভিড় বাড়ার আগেই আপনার সোনামণিকে নিয়ে গিয়ে তার পছন্দের পোশাকটি কিনে দিন। কারণ এখনই ভিড় বাড়তে শুরু করেছে শপিংমল এবং মার্কেটগুলোতে।

সতর্কতা
বর্ষা ও গ্রীষ্মের সামারের কথা চিন্তা করে শিশুদের সুতি কাপড়কে প্রাধান্য দিতে পারেন।
ঢিলেঢালা পোশাক নির্বাচন করুন।
রোদ কিংবা ভ্যাপসা গরম থেকে বাঁচতে গাঢ় রঙ পরিহার করতে পারেন।

সূত্র : : কেনাকাটা, সমকাল

Comments

comments

Comments are closed.