নতুন ভূমি আইনে ব্যক্তি পর্যায়ে সর্বোচ্চ ৬০ বিঘা কৃষিজমির মালিকানা লাভের সুযোগ থাকবে। এর বেশি জমি রাখা যাবে না। এমন একটি নতুন আইন (ভূমি সংস্কার আইন ২০২২) খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, ১৯৮৪ সালের ভূমি সংস্কার অধ্যাদেশকে আইন হিসেবে নিয়ে আসা হয়েছে। ব্যক্তি মালিকানায় ৬০ বিঘার বেশি জমি কেউ নিতে পারবে না। প্রস্তাবিত আইন সম্পর্কে তিনি জানান, ২৫ বিঘা পর্যন্ত খাজনা মাফ। আর একজন সর্বোচ্চ রাখতে পারবে ৬০ বিঘা।
খন্দকার আনোয়ারুল জানান, কেবল কৃষি শিল্পের ক্ষেত্রে ৬০ বিঘার বেশি জমির মালিকানা লাভের সুযোগ থাকছে। কিন্তু কেউ যদি ইন্ডাস্ট্রি করে কৃষিপণ্যজাতের- যেটা এক্সপোর্ট ওরিয়েন্টেড, তাহলে সেক্ষেত্রে এই ৬০ বিঘার সিলিং তার জন্য প্রযোজ্য না। সে ইন্ডাস্ট্রির জন্য অ্যাপ্রুভাল রিপোর্টে যেটা আছে, ব্যাংক যেটাকে জাস্টিফাই করবে- সেটা পর্যন্ত রাখতে পারবে। এই বিধি দেশি পণ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বলে জানান তিনি।
খাসজমির বন্দোবস্ত সম্পর্কে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, পল্লী এলাকাতে বাস্তুভিটা হিসেবে ব্যবহারের জন্য কোনো খাস জমি যদি পাওয়া যায়, তাহলে সরকার ভূমিহীন মুক্তিযোদ্ধা বা তার পরিবার বা ভূমিহীন কৃষক বা শ্রমিকদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে লিজ দিবে। তবে কোন অবস্থাতেই কোনো ব্যক্তিকে ৫ শতাংশের বেশি লিজ দেওয়া যাবে না।
খসড়ায় জমি বর্গার বিষয়ও পরিষ্কার করা হয়েছে। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, আগে ওইভাবে চুক্তি না থাকলেও এখন থেকে বাধ্যতামূলকভাবে বর্গাটাও চুক্তির মাধ্যমে হবে। প্রত্যেকটা চুক্তির মেয়াদ হবে পাঁচ বছরের জন্য।
.