ডা: আইরিন ফেরদৌস :::
আমি এর আগে কখনওই আমার নিজের পেশাদারী বিষয়ে কিছু লিখিনি। রীতিমত বাধ্য হয়ে আমি এই কলামটা লিখলাম। আমার কাছে মনে হয়েছে কিছু বিষয় সম্পর্কে সকলের জানা এবং বোঝা উচিত । আমরা আসলে আমরা কোন পথে হাটছি? কীভাবে কি রেখে যাচ্ছি আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য? আমার আলোচনার বিষয় বর্তমানে আমাদের খাদ্যভ্যাস, পুষ্টি ,খাদ্যের কিছু ক্ষতিকর বিষয়সমূহের যেহেতু আমি একজন মেডিক্যাল প্রাক্টিশনার তাই আমার মনে হয়েছে বিষয়গুলো জনস্বাস্থ্য সচেতনতায় সকলের উপকারে আসবে।
সাম্প্রতিককালে আমাদের দেশের বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে পাস্তুরিকৃত দুধ ও মুরগীর মাংসে ক্ষতিকর রাসায়নিক ও এন্টিবায়োটিক পাওয়া গিয়েছে। ইদানীং এমন কিছু শিশু পেশেন্ট দেখা যায় যাদের কোন এন্টিবায়োটিকে ধরছে না ।যাকে ডাক্তারির ভাষায় মাল্টিপল এন্টিবায়োটিক রেসিস্ট্যান্ট বলে । অর্থাৎ দেহের জীবানু ধ্বংস করতে কয়েক ধরনের ওষুধ এখন আর কাজ করছে না। শুধু ডাক্তার হিসেবে না, একজন সচেতন মা হিসেবে বলছি। আমরা হয়তো মনের অজান্তেই আমাদের সন্তানদের জন্য এক ভয়াবহ পৃথিবী রেখে যাচ্ছি।পুলিশসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক বাহিনীর অপারেশনে দেখা যাচ্ছে যে, ট্যানারির বর্জ্য দিয়ে তৈরি হচ্ছে পশুখাদ্য যা নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর উপাদান দিয়ে তৈরি নিম্নমানের খাদ্য যা বাজারে হরহামেশাই বিক্রি করা হচ্ছে। ট্যানারি বর্জ্যে মারাত্বক ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ ক্রোমিয়াম থাকে ,যা মানবদেহে ক্যান্সার রোগ সৃষ্টি করে । উল্লেখ্য , আমাদের অনেকেরই ভুল ধারণা রান্না করলে খাদ্যের জীবানু বিনষ্ট হয় । কিন্তু আপনি যতই রান্না করুন না কেন তার দ্বারা এসব জীবানু ধ্বংস সম্ভব নয় । কারণ বেশির ভাগ টক্সিন ২৯০০’ সে: তাপমাত্রায় ধ্বংস হয়। কিন্তু আমরা সাধারণত ১০০ বা ১৫০’ সে: তাপমাত্রায় রান্না করি। ফলশ্রুতিতে ক্ষতিকর এন্টিবায়োটিক এবং রাসায়নিক যুক্ত খাদ্যের ক্ষতিকর উপাদান জৈবিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমাদের রক্তে এবং রক্তের মাধ্যমে শরীরের প্রতিটি অংশে ছড়িয়ে পরে এবং আমাদের মনের অজান্তেই দেহের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করছে।
কীভাবে ক্ষতি করছে? সহজ করে বলছি:
দ্যা ইউ এস পাবলিক হেলথ সার্ভিসের এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থগুলি আমাদের দেহের ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র কোষ গুলিকে দূর্বল করে, ধ্বংস করে দিচ্ছে এবং কোষগুলিকে অস্বাভাবিক গঠন ও অস্বাভাবিক পরিবর্তন এনে দিচ্ছে, যা শরীরের কোন এক বা একাধিক অংশে স্বাভাবিক কার্যকরিতা ধীরে ধীরে ব্যহত করছে । আমাদের কোষের ভিতরে থাকে ক্রোমোজোম এবং তার ভিতরে থাকে ডিএনএ । ডিএনএ এর গঠনই হচ্ছে বহু জিনের সমন্বয়, যেখানে সুশৃঙ্খখলভাবে বহু জিন থাকে এবং জিনগুলোর স্বাভবিক অবস্থানের সমন্বয় আমাদের স্বাভাবিক রাখে । যা আমাদের দেহের সার্বিক কার্যক্রম সুন্দরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে । খাবারে সাথে ক্ষতিকর রাসায়নিক মানবদেহে প্রবেশের পর ডিএনএ এর ক্ষতি সাধন করছে । সেই সাথে জিনগুলোর সমন্বয়হীনতা সৃষ্টি করছে , জিন ক্রোমজমে গিয়ে ভুল ও ক্ষতিকর সমন্বয় তৈরি করছে যার ফলে দেহের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ব্যহত হওয়াসহ নানা রকম শারীরিক জটিলতা, কোন কোন অঙ্গের কার্যক্ষমতা কমে যাওয়া থেকে শুরু করে বিকল পর্যন্ত হয়ে যাচ্ছে ।
এখন আমরা দেখব কীভাবে আমরা আমাদের ধ্বংস করছি। বর্তমানে র্যাব এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিজানে বের হয়ে আসছে সব চ্যাঞ্চল্যকর তথ্য।
ক্ষতিকর রং মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে নামীদামি ব্রান্ডের জুস, মটরশুটি, আইস ললি এগুলো আমরা যত্রতত্র বাজার, দোকান , যানবাহন, ফেরিতে ক্রয় করে নিজেদের সাথে সাথে অবুঝ বাচ্চাদের হাতে তুলে দিচ্ছি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে এস্করবিক এসিড । যেখনে সব কৃত্রিম উপাদান রয়েছে, প্রাকৃতিক কোন উপাদান নেই। বিভিন্ন নামীদামি ব্রান্ডের দুধের মধ্যেও পাওয়া গেছে ক্ষতিকর এন্টিবায়োটিক যা আমরা হর হামেশা গ্রহণ করছি । শুধু জুস বা দুধেই ক্ষান্ত নয় চানাচুরের সাথে মেশানো হচ্ছে পোড়া মবিল, রমজানের মুড়ি ডালভাজা সহ প্রায় সকল পণ্যের সাথে মেশানো হচ্ছে ভেজাল। পুরান ঢাকার বেশিরভাগ পোল্ট্রি খাদ্য তৈরির কারখানায় তৈরি হচ্ছে মুরগির জন্য ভেজাল খাদ্য । যেখানে মুরগির খাবারের প্রোটিন হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে ট্যানারির উচ্ছিষ্ট আবর্জনা এবং গবাদি পশুর চমরার উচ্ছিষ্টাংশ । চামড়া কারখানার বর্জ্যের বিষাক্ত ক্রমিয়াম মিশে যাচ্ছে ওই সকল খাবারে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সনামধন্য অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন স্যারের গবেষণায় দেখা গেছে, মুরগির রক্তে ৭৯০ মাইক্রোগ্রাম, মাংসে ৩৫০ মাইক্রোগ্রাম , হাড়ে ২০০০ মাইক্রোগ্রাম ,কলিজায় ৬১২ মাইক্রোগ্রাম এবং মগজে ৪,৪২০ মাইক্রোগ্রাম ক্রোমিয়াম পাওয়া গিয়েছে। অর্থাৎ এখানে দেখা যাচ্ছে গোটা মুরগিটাই বিষাক্ত হয়ে যাচ্ছে , যা প্রতিনিয়তই আমরা খেয়ে যাচ্ছি। একজন মানুষ যদি ২৫০ গ্রাম মাংস খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে তাহলে সে ৮৭ মাত্রার ক্রোমিয়ামও গ্রহণ করল। এখানে দ্যা ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেস , দ্যা ন্যাশনাল রিসার্স কাউন্সিল , দ্যা ইউ এস পাবলিক হেলথ সার্ভিসেস, আমেরিকার হার্ট অ্যাসোশিয়েশন, দ্যা আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোশিয়েসনের মতে, ক্রোমিয়াম গ্রহণের মানদন্ড হচ্ছে ৩৫ মাইক্রোগ্রাম । আর এই ক্রমিয়াম হচ্ছে বিষাক্ত উপাদান যা আমাদের অজান্তেই মানবদেহের দেহের সেল নষ্ট করছে । আর এই নষ্ট সেল পার্শ্ববর্তী সেল নষ্ট করছে যাকে আমরা ক্যান্সার বলি। ক্রোমিয়াম হচ্ছে এমন এক জিনিস যা যতই রান্না করা হোক না কেন, ইহা নষ্ট হয় না ।একবার মুরগির ভিতরে প্রবেশ করলে তা আমাদের স্বাভাবিক খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে মানবদেহে প্রবেশ করে। শুরুতে বলেছিলাম এগুলো সাধারণত ২৯০০’ সে: তাপমাত্রায় নষ্ট । কিন্তু আমরা সাধারণত ১০০ বা ১৫০’ সে: তাপমাত্রায় রান্না করি।
অন্য একটি গবেষণা যা হয়েছিলো বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল হতে। সিক্সোফসিন একধরণের এন্টিবায়োটিক পাওয়া গেছে মুরগির মাংস এবং ডিম থেকে, যাহার পরিমান হলো শতকরা ৮০%, যা সহনশীল মাত্রা থেকে ৫ গুণ বেশি। বাজারে যে সকল মুরগির মাংস পাওয়া যায় তাহা সহনশীল মাত্রা হতে ৩ থেকে ৫ গুন বেশি ক্রোমিয়াম পাওয়া পাওয়া গেছে। এগুলো সাধারণত আমাদের দেহের ৫টি অঙ্গ লিভার,কিডনি, হৃদ যন্ত্র ,অন্ত্র এবং হাড়ের কার্যক্রম ব্যাপকভাবে ব্যহত করছে। সাথে সাথে আমাদের জীবিত সেল গুলো নষ্ট করে দিচ্ছে । ফলস্বরুপ মনের অজান্তে আমাদের দেহে ক্যান্সারের মতো মরণঘাতী বাসা বাঁধছে।
গরু মোটাতাজা করনের ক্ষেত্রে যত্রতত্র নানান ক্ষতিকর এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হচ্ছে । মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযাহা। সকলেই গরুর গোস্ত খাবে , এতে খুব বেশি সমস্যা নেই । তবে মাত্রাতিরিক্ত খাওয়া যাবে না, বিশেষ করে মোটাতাজাকরণের গরুর মাংস খাওয়া যাবে না।
দ্য ইউএস পাবলিক হেলথ সার্ভিসেস এর গবেষণা মতে শরীরের কোলেষ্টেরল এর বৃদ্ধির মূল কারণ চর্বি নয়, অত্যাধিক কার্বহাইড্রেট বা শর্করা জাতীয় খাবার । ক্ষতিকর কোলষ্টেরল বলতে ব্যাড কোলেষ্টরল বা এলডিএল বোঝায় না ।ক্ষতিকর কোলস্টেরল হলো ওইসব পরিবর্তীত রাসায়নিক কোলেষ্টরল জৌগ যা কোলেষ্ট্রল সমৃদ্ধ খাবারকে ১২০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় রান্না করলে বা পোড়ালে অক্সিডেশনের মাধ্যমে প্রস্তুত হয়।
এখন আলোচনা করা যাক এসব থেকে পরিত্রানের উপায় সম্পর্কে । এসব থেকে বাচার জন্য বা শরীর মস্তিষ্ক ও হৃদপিন্ডকে সুস্থ্য রাখার জন্য পরিশোধিত চিনি ,আটা ,ময়দা এবং অতিরিক্ত শর্করা থেকে প্রস্তুত খাবার বর্জন বা কম গ্রহণ করতে হবে। ঢেকিছাটা চাল বা লাল আটা গ্রহণ করা যেতে পারে ।
আমিষের জন্য গবাদি পশু এবং মুরগির মাংস আমাদের গ্রহণ করতে হবে এটা ঠিক তবে পশু খাদ্য গুলি যেন স্বাস্থ্য সম্মত হয়। এ ব্যপারে কঠিনভাবে আইন প্রয়োগ করতে পারলেই স্বাস্থ্য সম্মত মাংস পাওয়া যাতে পারে,
যত্রতত্র ডিসপেন্সারিতে এন্টিবায়টিক বিক্রি করা যাবেনা। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামরশ ছাড়া কোন এন্টিবায়োটিক কাউকে ব্যবহার করতে দেওয়া যাবেনা। চিনি শরীরে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা, মাত্রাতিরিক্ত ভাবে বাড়িয়েদেয় ,যা হৃদরোগ বা হার্ট আট্যাকের মূখ্য ভূমিকা পালন করে । মাত্রাতিরিক্ত চিনি এবং কার্বনেটেড ড্রিঙ্কস গ্রহণের ফলে প্রসাবে বিটাগুল কোরোনাইডেজ এনজাইমের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় ,যার সঙ্গে ব্লাড ক্যান্সারের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। যা দ্যা ন্যাশনাল হেলথ অব সায়েন্স , দ্যা ন্যাশনাল রিসার্স কাউন্সিল , দ্য ইউএস পাবলিক হেলথ সার্ভিস, আমেরিকান হার্ট অ্যাসোশিয়েশন ,দ্যা আমেরিকান মেডিক্যালের রিসার্সে প্রমানিত ।
পুষ্টিবিদরা জোর দিয়ে বলেছেন যে মাত্রাতিরিক্ত চিনি, আলু, ভাত রুটির মতো শর্করা পরিবেষ্টিত খাবার খাওয়ার কারনে মানুষের ওজন বাড়াসহ স্থুলতার হার বেড়ে যাচ্ছে। আমেরিকার হার্ট অ্যাসোশিয়েশনের রিসার্সে দেখা গেছে যে মাত্রাতিরিক্ত চিনি খাওয়ার কারনে মানুষ অসুস্থ্য হচ্ছে অথবা কার্ডিয়াক ফেইলিওয়ের কারনে মারা যাচ্ছে। দ্যা ন্যাশনাল রিসার্স কাউন্সিল অব আমেরিকার গবেষণায় দেখা গেছে যে ,কোলেষ্টেরলের কারনে হার্ট অ্যাটাক হয়না। কিন্তু যুগে যুগে ডাক্তারের মতে কোলেষ্টরলের কারনেই হার্ট অ্যাটাক হয়। এরই পরিপ্রক্ষিতে চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা যুগে যুগে রোগীদের কোলেষ্টরলের মাত্রা কমানোর জন্য চর্বি জাতীয় খাবার না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
অতিরিক্ত চিনি ব্যবহারের কারণে আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যেমন , লিভার কিডনি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া, ডায়াবেটিস হওয়ার মাধ্যমে চোখের দৃষ্টি শক্তি কমে আসা এমন ও হতে পারে যে আপনার জিন ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার পরও কোন ত্রুটিধরা পরছেনা সেক্ষেত্রেও আপনার পরবর্তী ২-৩ প্রজন্ম পর্যন্ত বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা নিয়ে জন্ম নিতে পারে আপনার ভবিষ্যৎ ।
আমরা হর হামেসাই বিভিন্ন ধরনের চিনি মিশ্রিত কোমল পানীয়, জুস, চকলেট দেশি বা বিদেশি ব্রান্ডের যা নিজেরা গ্রহণ করি এবং বাচ্চাদের কেও দিয়ে থাকি। দ্যা ওয়ার্ল্ড সোশ্যাল ওয়েবসাইট, নভেম্বর ২০১৮ একটি চানঞ্চল্যকর প্রবন্ধ ছাপিয়েছে। ওয়েবসাইটটিতে লিখেছে যে চিনি কল গুলো তাদের বাণিজ্যিক স্বার্থ হাসিলের জন্য বিজ্ঞানকে নোংরা ভাবে ব্যবহার করছে।
দ্য আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোশিয়েশন বরাত দিয়ে ১৯৫০ এবং ১৯৬০ দশকে পরিচালিত বৈজ্ঞানিক গবেষণায় প্রমাণিত হয় যে, চিনি মিশ্রিত খাবার বিশেষ করে মিষ্টি জাতীয় খাবার গ্রহণ করলে হার্ট ডিজিজ, ষ্ট্রোক ও ব্লাড ক্যান্সারের প্রধান কারন। ডাইবেটিস রোগীদের জন্য সুগার ব্যবহারের সাথে সাথে, চোখ, দাত, লিভার হাড় এর জয়েন্টসহ সকল কিছু নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ।
উপরোক্ত বিষয়গুলো আলোচনার পরে পরিশেষে বলতে পারি, একটা বিষয় মনে রাখতে হবে একসময় ঈদুল আযহাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে প্রচুর পরিমান গবাদিপশু আসত। ভারত সরকারের ইচ্ছায়এই গবাদিপশু বিক্রি করা বন্ধ হয়ে গেছে । অতিরিক্ত মুনাফা লাভের আসায় কিছু আমাদের দেশের অসাধু ব্যবসায়ী গরুকে ক্ষতিকর পদ্ধতি অবলম্বন করে পশু মোটাতাজাকরন করছে । দেশের মান নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা সহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যকরী ভূমিকা পালন করলে এই সমস্যা সমাধান করা সম্ভব এবং পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করা সম্ভব ।
পরিশেষে বলতে হবে আপনার স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য বছরে দুবার চিকিৎসকের দ্বারা শরীরের পর্যবেক্ষণ করানো উচিত। নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ, শরীর চর্চা, পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি পান, পর্যাপ্ত ঘুম এবং যথা সম্ভব দুশ্চিন্তা মুক্ত জীবন যাপন করা উচিত। এক্ষেত্রে সৃষ্টিকর্তার উপর বিশ্বাস রেখে ধর্মীয় অনুশাসনের চর্চা করলে বিজ্ঞান সম্মতভাবে সুস্থ্য সুন্দর জীবনযাপন করা সম্ভব।
# ডা: আইরিন ফেরদৌস :
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, চরভদ্রাসন,
ফরিদপুর, ৭৮০০।
aireeneva@yahoo.com
.